মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়ার কারণ দেখিয়ে এ বার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বাংলার ক্রিকেটারদের। অথচ এই নীতি মেনে চলার ফলে যে খুব একটা উন্নতি হয়েছে, তাও বলা যাচ্ছে না। বিজয় হজারে ট্রফির গ্রুপ পর্যায়ের একটি ম্যাচ বাকি থাকতেই কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে বাংলা। তাই প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লর প্রশ্ন, হঠাৎ কেন এই নীতি চালু করা হল বাংলার ক্রিকেটে?
লক্ষ্মী বলেন, ‘‘ক্রিকেটারদের শান্তিতে খেলতে দিক সাইরাজ। পাগলামি বন্ধ করুক। ক্রিকেটারেরা তো কোনও হস্টেলে থাকতে আসেনি। বাংলাকে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছে। সেটা মন দিয়ে করতে দেওয়া উচিত কোচের।’’
প্রাক্তন অধিনায়ক মনে করেন, বাংলার ক্রিকেটে প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু তাঁদের সঠিক পদ্ধতিতে চালাতে পারছেন না কোচ। বলছেন, ‘‘মনোজ, ডিন্ডা, সুদীপ এরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত প্রতিভাবান। বাংলার ক্রিকেটে ওদের প্রচুর অবদান। কিন্তু কোচ ও তাঁর ম্যানেজমেন্টের কিছু সিদ্ধান্ত আমাকে অবাক করছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের মতো দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। একজন ক্রিকেটার প্রচার ছাড়া বড় হতে পারে না।’’
ক্রিকেটারদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্য মনোবিদের ব্যবস্থা করেছে সিএবি। অথচ তার প্রভাব মাঠে দেখা যাচ্ছে না। ত্রিপুরার বিরুদ্ধেও কোনও রকমে জিততে হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে হারছে। এমনকি সার্ভিসেসকেও হারাতে পারছে না। তা হলে এই মনোবিদ আসায় লাভটা কী হল, প্রশ্ন লক্ষ্মীর। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ক্রিকেটার থাকতে কোনও মনোবিদের প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। দাদার উৎসাহেই তো কাজ হয়ে যাওয়ার কথা। আমরা (প্রয়াত) গোপাল (বসু) স্যর, পলাশ (নন্দী) স্যরদের থেকে পরামর্শ পেয়েছি। আমাদের তো কোনও অসুবিধা হয়নি।’’
লক্ষ্মীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানার জন্যা বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোনও তোলেননি। এসএমএসেরও
উত্তর দেননি।