শ্রেয়স আইয়ার।
ভারতীয় দলে স্থায়ী জায়গা করে নেওয়ার জন্যই ক্রিকেট জীবন শুরু হয় এ দেশে। সেই স্বপ্ন নিয়েই প্রথম ব্যাট ধরেছিলেন মুম্বইয়ের শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু সেই জায়গা যদি স্থায়ী না হয়, তা হলে প্রভাব পড়তে পারে পারফরম্যান্সেও।
বিশ্বকাপে ভারতের সেমিফাইনালে হারের পরে মিডল অর্ডারে বেশ কিছু নতুন মুখ দেখা যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। আইপিএল-এর তরুণতম অধিনায়ক শ্রেয়স তাঁদের মধ্যে একজন। কিন্তু আদৌ তিনি পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানের।
রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে শ্রেয়স বলেন, ‘‘যদি কেউ প্রচণ্ড প্রতিভা নিয়েও জন্মায়, তাকে সেই প্রতিভা তুলে ধরার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হয়। অন্তত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য যে সময়টা প্রয়োজন, সেটা দিতে হয়।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘যদি কেউ দলে আসা-যাওয়া করতে থাকে তা হলে ছন্দ নষ্ট হতে বাধ্য। আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করে। মনে হয়, সামনের সব দরজা একেবারে বন্ধ।’’
ভারতের হয়ে ছ’টি ওয়ান ডে ও ছ’টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ২৪ বছর বয়সি ব্যাটসম্যানের। ওয়ান ডে-তে তাঁর সর্বোচ্চ রান ৮৮। কিন্তু কখনওই স্থায়ী জায়গা হয়নি ভারতীয় দলে। ডমেস্টিক ও ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটছিল না তাঁর। এক সময়ে হতাশা গ্রাস করে তরুণ ক্রিকেটারকে। বলছিলেন, ‘‘সুযোগ না পেলে অধৈর্য হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু আমি ভেবেই বা কি করব। নির্বাচন তো আমার হাতে নেই। তাই পারফর্ম করে যাওয়াই ছিল বুদ্ধিদিপ্ত উপায়। সেটাই করে গিয়েছি। পারফর্ম করতে না পারলে কেউ ফিরে তাকাবে না। এক বার তাকালে আর পিছনে ঘুরে দেখতে হবে না।’’
২০১৯ বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি শ্রেয়সের। যদিও আশা করেছিলেন, বিশ্বকাপের দলীয় বৈঠকের আলোচনায় তিন উঠে আসবেন। তবে ভবিষ্যতে যে, বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ ফুরিয়ে যাচ্ছে না তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই তরুণ ব্যাটসম্যানের।
শ্রেয়স বলছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপের আগে আমাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল। পারফর্ম করেছিলাম বলেই আমার নাম বারবার উঠছিল। জানতাম আমার পরিশ্রমের দাম এক দিন পাবই। তাই হয়তো ভারতীয় দলে ফের সুযোগ পেয়েছি।’’
এত দিন তাঁর ভারতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে শ্রেয়স বলেন, ‘‘দলের ভাঙতে না চাওয়ার জন্যই হয়তো দলের বাইরে থাকতে হয়েছে। তবে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হওয়ার পরে সত্যি খুব কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু আবার মনেও হয়েছিল, যে ক’টি সুযোগ আমি পেয়েছি তার মধ্যে পারফর্ম করা উচিত ছিল।’’ ঠিক কী পরিকল্পনা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছেন শ্রেয়স? তরুণ ব্যাটসম্যান বলছিলেন, ‘‘বেশি করে পুল ও সুইপ অনুশীলন করছি। ভারতের বাইরে এই দু’টি শটে প্রচুর রান করার সুযোগ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তাও অন্যতম উপকরণ হওয়া উচিত।’’
কয়েক দিন আগেই ভারত ‘এ’-র হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জিতে ফিরেছেন শ্রেয়স। তার জন্য বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন তিনি।