ভারতের সাফল্যে বুমরার অবদানকে গুরুত্ব দিচ্ছেন শোয়েব আখতার। ছবি শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেল থেকে নেওয়া।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে নিউজিল্যান্ড। রবিবারের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও সাত রানে জিতেছে ভারত। আর তার পর নিউজিল্যান্ডকে ‘ফুলিশ’ ও ‘স্টুপিড’ ক্রিকেটের জন্য তীব্র আক্রমণ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার।
সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি যথাক্রমে ছয় ও সাত উইকেটে জিতেছিল ভারত। পরের দুটো টি-টোয়েন্টিতে জয় এসেছিল সুপার ওভারে। আর শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৬৩ রানের পুঁজি নিয়ে জিতে যায় ভারত। কোহালির ভারতই বিশ্বের প্রথম দল যারা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ৫-০ ফলে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব এই সিরিজ নিয়ে আলোচনায় বলেছেন, “বোকার মতো ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ডকে যে ভাবে হারতে দেখলাম তাকে আর অন্য কিছু বলতে ইচ্ছা করছে না। আমার মনে হয়, নিউজিল্যান্ডের উচিত বল-প্রতি রান পরিস্থিতিতে কী ভাবে ব্যাট করতে হয় তা শেখা। পাঁচ টি-টোয়েন্টির মধ্যে দুটো ওরা টাই করেছিল। আর শেষ ম্যাচে বল-প্রতি রানও প্রায় ছিল না। অথচ, তার পরও ওরা হেরে গেল।”
আরও পড়ুন: বুমরা-সাইনি ম্যাজিকে ৫-০, নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করল ভারত
আরও পড়ুন: সতীর্থদের থেকে সব ম্যাচে সেরা ক্রিকেট চান কোহালি
রবিবার রান তাড়ার সময় চতুর্থ উইকেটে রস টেলর ও টিম সেইফার্ট যোগ করেছিলেন ৯৯ রান। ১৩তম ওভারে সেইফার্টকে নবদীপ সাইনি ফেরাতেই নামে ধস। পরের সাত ওভারে পাঁচ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শোয়েব বলেছেন, “আমি বুঝতে পারছি না যে, নিউজিল্যান্ড ঠিক কী করছে। ওরা বার বার এক ওভারে বেশি উইকেট হারিয়ে বসছে। রস টেলরের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারছে না, এটা দেখাও যন্ত্রণার। আমার কাছে পুরোটাই বোকামি লেগেছে। জানি না ওরা কোন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে। ওদের বুদ্ধিহীন ক্রিকেট দেখাও কষ্টকর। যদি সামান্য পরিণত মানসিকতা দেখাত, তবে নিউজিল্যান্ড ৩-২ জিতত টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে ভারতকে সেলাম, ওরা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে দারুণ ভাবে।”
ভারতীয় বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন শোয়েব। তাঁর মতে, দলের এক্স ফ্যাক্টর হলেন জশপ্রীত বুমরা। শোয়েবের কথায়, “বুমরা, নবদীপ সাইনি ও শার্দুল ঠাকুররা সকলেই দারুণ। তবে এক্স-ফ্যাক্টর বুমরাই। এই ভারতীয় দল দক্ষতার সঙ্গে চাপ সামলাচ্ছে। তবে আবার বলছি, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট আমাকে হতাশ করেছে। ওদের যাবতীয় সমালোচনা প্রাপ্য। একদম বাচ্চাদের মতো খেলেছে ওরা। একেবারে অপেশাদারের মতো দেখিয়েছে ওদের।”