অর্ধশতরানের পর শিবম দুবে।—ছবি পিটিআই।
ভারতীয় ক্রিকেট কি আর এক জন তরুণ অলরাউন্ডারকে পেতে চলেছে?
আইপিএলে গত মরসুম থেকে বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেন শিবম দুবে। এ দিন সেই শিবমকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠান কোহালি। কেন শিবমকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে তুলে নিয়ে আসা হল, তার ব্যাখ্যাও ম্যাচের পরে দিয়েছেন অধিনায়ক। ভারতীয় দল পরিচালন সমিতি চেয়েছিল, শিবম-শক্তিকে কাজে লাগাতে। কোহালি বলেছেন, ‘‘ওই সময় স্পিনাররা বল করছিল। তাই আমরা ঠিক করি, স্পিনারদের বিরুদ্ধে শিবমের শক্তিকে কাজে লাগাব।’’
শিবমের ব্যাটিংয়ের প্রধান অস্ত্র হল তাঁর শারীরিক শক্তি। যে শক্তির পিছনে নাকি দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার। মুম্বইয়ে তাঁর সতীর্থ শ্রেয়স আইয়ার এক বার বলেছিলেন, ‘‘শিবম দুধ আর দুগ্ধজাতীয় যে কোনও জিনিস খেতে খুব ভালবাসে। কয়েক লিটার দুধ ও নিমেষে শেষ করে দিতে পারে। এটাই ওর শক্তির কারণ।’’
মুম্বইয়ের ২৬ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার বাঁ-হাতে ব্যাট করলেও ডান-হাতে বল করেন। রঞ্জি ট্রফিতে একবার পরপর পাঁচ বলে পাঁচটি ছয় মেরে নজর কেড়েছিলেন শিবম। মাস দুয়েক আগে বিজয় হজারে ট্রফিতে কর্নাটকের বিরুদ্ধে দুরন্ত ১১৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। হারিয়ে দিয়েছিলেন বেশ ক’টি বল। তার পরে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা মজা করে বলেছিলেন, ‘‘তোমার থেকে আমরা কিন্তু বেশ কিছু টাকা পাই।’’ শিবমের উত্তর ছিল, ‘‘আমার ম্যাচ ফি থেকে কেটে নেবেন।’’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় দলে ডাক পেয়েই প্রথম ফোনটা তিনি করেছিলেন বাবা রাজেশ দুবেকে। শিবম বলেছিলেন, ‘‘বাবাই আমার সব কিছু। সব সময় আমার পাশে থেকেছেন। আমার মেরুদণ্ড বলতে পারেন।’’
রবিবার তিরুঅনন্তপুরমে শিবমের ব্যাটিং দেখার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা কথাই ঘোরাফেরা করছে— ‘‘নতুন এক যুবরাজ সিংহকে কি দেখা যাচ্ছে শিবমের মধ্যে?’’ লম্বা-চওড়া বাঁ-হাতি শিবমের চেহারায় অনেকেই যুবরাজের সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে বিশাল ছয় মারার ক্ষমতাও। এ দিন ৩০ বলে ৫৪ করলেন শিবম। মারলেন তিনটি চার, চারটি ছয়।