সেরা: ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিয়ে আক্রম। ছবি: টুইটার
লাজং এফসি ০ • মোহনবাগান ৩
সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই বদলে নাটকীয় ভাবে বদলে গেল ছবিটা। শনিবার শিলংয়ে লাজং এফসি-কে ৩-০ হারিয়ে ফের আই লিগে খেতাবের দৌড়ে প্রত্যাবর্তন মোহনবাগানের। ১২ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে টপকে উঠে এল লিগ টেবলের তিন নম্বরে।
আইজল হোক বা শিলং— পাহাড়ে ম্যাচ মানেই মোহনবাগান শিবিরে আতঙ্কের আবহ। শনিবার কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। ম্যাচের ৩০ মিনিটেই ক্যামেরন ওয়াটসনের পাস থেকে গোল করে এগিয়ে দেন দিপান্দা ডিকা। গত মরসুমে লাজং এফসি-তে ছিলেন ক্যামেরুন স্ট্রাইকার। আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন তিনি। এ দিন পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ডিকা। মোহনবাগানের হয়ে বাকি দু’টো গোল আক্রম মোঘরাবি ও শেখ ফৈয়জের। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গোল করেন আক্রম। ৮৯ মিনিটে গোল করেন ফৈয়জ। ম্যাচের সেরাও হন আক্রম।
ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘দুর্ধর্ষ খেলেছে দল। গত দু’টো মরসুম আমরা শিলং থেকে জিতে ফিরতে পারিনি। ড্র করেছিলাম। তাই এই জয়ের মূল্যটাই আলাদা।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘প্রবল ঠান্ডায় প্রতিকূল পরিবেশেও পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছে ফুটবলাররা।’’ লাজংয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের সত্ত্বেও শঙ্করলাল বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘‘লাজং ম্যাচ এখন অতীত। সামনে আরও ম্যাচ রয়েছে। তাই লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে চলবে না।’’
মোহনবাগানের পরের ম্যাচ চেন্নাই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ৭ ফেব্রুয়ারি। শিলংয়ের প্রবল ঠান্ডা অস্বস্তি বাড়িয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবিরে। এ বার উদ্বেগ বাড়ছে কোয়েম্বত্তূরের গরম নিয়ে। শঙ্করলাল বলেছেন, ‘‘কোয়েম্বত্তূরের আবহাওয়া সম্পূর্ণ বিপরীত। ফলে মানিয়ে নেওয়াটা রীতিমতো কঠিন।’’
শনিবারই চেন্নাই ঘরের মাঠে আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে পিছিয়ে গিয়েও দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচের তিন মিনিটেই উগো কোবায়াশির গোলে এগিয়ে যায় গত বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ৭৯ মিনিটে চেন্নাইয়ের হয়ে সমতা ফেরান অ্যান্টনি বিউটিন।
মোহনবাগান লিগ টেবলে তিন নম্বরে উঠে এলেও শীর্ষস্থান এখনও মিনার্ভা এফসি-র দখলেই। ১২ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট চেঞ্চো গেলসেন-দের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নেরোকা এফসি-র পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ২৪। তবে আজ, রবিবার ইম্ফলে ঘরের মাঠে গোকুলম এফসি-কে হারিয়ে এক নম্বরে উঠে আসার সুযোগ রয়েছে নেরোকা-র সামনে। ডিফেন্ডার ভার্নে কালন বলেছেন, ‘‘আমরা দু’টো ম্যাচ হেরেছি ঠিকই। কিন্তু এখনও আমরা খেতাবি দৌড় থেকে ছিটকে যাইনি। রবিবার আবার নতুন ভাবে শুরু করব।’’ গোকুলম এফসি-র কোচ বিনো জর্জ বলেছেন, ‘‘লিগ টেবলের উপরের দিকে রয়েছে নেরোকা। আর আমরা সব চেয়ে নীচে। শেষ দু’টো ম্যাচে আমরা খুব ভাল খেলেছি। যা নেরোকা-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে ফুটবলারদের।