ত্রাতা: পেনাল্টি থেকে গোল করে উল্লাস রোনাল্ডোর। রয়টার্স
অপ্রতিরোধ্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেরি আ-তে ২৮ ম্যাচে ২৮ গোল করার রাতেই ত্রাতা হয়ে উঠলেন জুভেন্টাসের।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠে আটলান্টার বিরুদ্ধে শুরুতেই বিপর্যয় নেমে আসে জুভেন্টাস শিবিরে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে দুভান জ়াপাতা গোল করে আটলান্টাকে এগিয়ে দেন। শুধু তাই নয়। দুরন্ত ফর্মে থাকা রোনাল্ডো-পাওলো দিবালা জুটিকে প্রথমার্ধে একেবারেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেননি আটলান্টার ফুটবলারেরা। ০-১ পিছিয়ে পড়ায় রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল ম্যানেজার মাউরিজ়িয়ো সাররি-সহ জুভেন্টাস সমর্থকদের। কারণ, জিতলেই যে সেরি-আ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার সুযোগ ছিল আটলান্টার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন রোনাল্ডো, দিবালারা। ৫৫ মিনিটে স্বস্তি ফেরে জুভেন্টাস শিবিরে। নিজেদের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগে আটলান্টার মার্তিন দে রুনের। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান সি আর সেভেন। ফুটবল পণ্ডিতদের অনেকেই মনে করেছিলেন, এ বার আর থামানো যাবে না জুভেন্টাসকে। কিন্তু তাঁদের অনুমান সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে ৮০ মিনিটে গোল করে আটলান্টাকে ২-১ এগিয়ে দেন রুসলান মালিনভস্কি। হার বাঁচাতে এক মিনিটের মধ্যেই ব্লেস মাতুইদিকে তুলে অ্যারন র্যামসেকে নামান সাররি। এর ফলে জুভেন্টাসের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়লেও গোল অধরাই ছিল। ৮৮ মিনিটে আটলান্টার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সি আর সেভেনের দুরন্ত শট আটকে দেন ডিফেন্ডারেরা। জুভেন্টাস সমর্থকেরাও ভাবতে পারেননি এক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি নাটকীয় ভাবে বদলে যাবে। নিজেদের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগে আটলান্টার লুইস মুরিয়েলের। ফের পেনাল্টি থেকে গোল করে ২-২ করেন রোনাল্ডো।
ম্যাচের পরে জুভেন্টাস ম্যানেজার সাররি বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডো অতুলনীয়। ওর শুধু পা নয়, মস্তিষ্কও চ্যাম্পিয়নের মতো। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনবদ্য ভাবে চাপ সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে রোনাল্ডোর।’’