স্বস্তি: যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে সেরিনার যাত্রা শুরু হল ভাল ভাবেই। রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে দারুণ ভাবেই শুরু করলেন সেরিনা উইলিয়ামস। স্ট্রেট সেটে জিতলেন তিনি। একইসঙ্গে ক্রিস এভার্টের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ১০১টি সিঙ্গলস জয়ের নজির ভেঙে দিলেন। ফ্লাশিং মেডোজে একই দিনে সেরিনার দিদি ভিনাস প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিলেন। এবং নেয়োমি ওসাকার মুখাবরণে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী বার্তা! নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে মহিলাদের বিভাগে এগুলোই ছিল চর্চার বিষয়।
প্রথম রাউন্ডে সেরিনা সামনে পেলেন স্বদেশের ক্রিস্টি আনকে। প্রথম সেটে শুরুর সার্ভিস গেমটাই হারান। ম্যাচে আরও কয়েকটা গেম হাতছাড়া করেন। এর বাইরে পুরোটাই ৩৮ বছরের সেরিনার দাপট। ১৩টি এস-এর সৌজন্যে মার্কিন কিংবদন্তি তাঁর থেকে বয়সে ১০ বছরের ছোট প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারালেন ৭-৫, ৬-৩ সেটে। সময় নিলেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট। তবে মার্গারেট কোর্টের ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অনন্য রেকর্ড থেকে মাত্র একটি স্ল্যাম দূরে থাকলেও সেরিনা বলে গেলেন, ‘‘রেকর্ডের কথা ভেবে উত্তেজিত হয়ে লাভ নেই। মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে আছি। আমাকে এখন টুর্নামেন্ট জয়ের কথা ভাবতে হবে, রেকর্ড নয়।’’
হার্ডকোর্টে সেরিনার জেতা-হারার পরিসংখ্যান এখন ১০২-১৩! কিংবদন্তি তারকার কথায়, ‘‘যত বার এখানে খেলতে আসি, তত বারই বলা হয়, একটা না একটা রেকর্ড ভেঙেছি। আজ যেমন ক্রিস এভার্টের রেকর্ডের কথা উঠছে।’’ প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জেতা নিয়ে বললেন, ‘‘নব্বইয়ের দশক থেকেই এখানে স্ট্রেট সেটে জিতে আসছি। অবশ্য প্রচুর ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও হয়েছে। কঠিন ম্যাচ নিয়ে বেশি ভাবি না। শুধু চেষ্টা করি শুরু থেকে শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত মনঃসংযোগটা ধরে রাখতে। বাকি যা হয় হবে।’’ সেরিনা শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন তিন বছর আগে অস্ট্রেলীয় ওপেনে। পরে চার বার তিনি বিভিন্ন জায়গায় ফাইনালে উঠেও হেরে যান। টেনিস মহলে বলা হচ্ছে, করোনা সংক্রমণের ভয়ে অ্যাশলে বার্টি, সিমোনা হালেপের মতো তারকারা না থাকায় এ বার সেরিনার পক্ষে মার্গারেট কোর্টের রেকর্ড স্পর্শ করা তুলনামূলক ভাবে সহজ হবে। প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন। জানাচ্ছেন, ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে হচ্ছে বলে ভক্তদের প্রত্যাশার চাপটাও এ বার কম।