স্প্যানিশ সালভা চামোরো।
কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে চার স্প্যানিশ ফুটবলারকেই কি পাবেন কিবু ভিকুনা? মঙ্গলবার রাতে দুই স্প্যানিশ সালভা চামোরো এবং ফ্রান মোরান্তার আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র চলে এল ক্লাবে। আজ বুধবার দুপুরে আই এফ এ অফিসে এসে সই করবেন ওই দুই বিদেশি। মোহনবাগানের চার স্প্যানিশ ফুটবলারই ভারতে প্রথম বার খেলতে আসছেন। ফলে আইএফএ-র নিয়মে তাঁদের আন্তর্জাতিক ছাড়পত্রের কাগজ এসে গেলেই সই করে মাঠে নেমে পড়তে কোনও অসুবিধা নেই। মঙ্গলবার ফুটবল বিভাগের এক কর্তা বললেন, ‘‘বাকি দু’জনকে ২৬ জুলাই পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সই করানোর চেষ্টা চলছে। কলকাতা লিগে না হলেও ডুরান্ডের শুরু থেকে ওরা খেলবেনই।’’ ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেই সুব্রত ভট্টাচার্যের দলের সামনে পড়েছে মোহনবাগান।
ছাড়পত্র না এলেও মোহনবাগান অনুশীলনে এ দিন নেমে পড়লেন নতুন দুই স্প্যানিশ মিডিয়ো জোসিবো বেইতিয়া এবং ফ্রান গঞ্জালেস। দলের সঙ্গে পুরো সময় অনুশীলন করলেন দু’জনেই। এ দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে মোহনবাগান কোচ কথা বলেননি। তবে দলের সিনিয়র এক ফুটবলার বললেন, ‘‘দু’জনই খুব ভাল। তবে অ্যাটাকিং মিডিয়ো ফ্রান দারুণ। যেমন পাসিং, তেমনই শট। চার জনের মধ্যে সেরা।’’ রিয়াল মাদ্রিদ ‘বি’ দলে খেলেছেন গঞ্জালেজ। তারপর বিভিন্ন দেশে খেলে এসেছেন মোহনবাগানে। কোচ তাঁর স্বদেশীয় ফুটবলারদের কথা বলতে বারণ করেছেন। ভাঙা ভাঙা ইংরেজি বলতে পারেন গঞ্জালেস। বলেছেন, ‘‘আমি ডিফেন্সিভ মিডিয়ো, স্টপার এবং সাইড ব্যাক—তিনটি পজিশনেই খেলতে পারি। কোচ যেখানে খেলাবেন, সেখানেই খেলব।’’ জানিয়ে দিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গলের বোরখা তাঁর সঙ্গে খেলেছেন একই ক্লাবে। লাল-হলুদ কোচকেও চেনেন। গঞ্জালেসের মন্তব্য, ‘‘কোচ কবে আমাকে নামাবেন জানি না। তবে সেরা খেলাটা দিতে পুরো ফিট হতে হবে। আরও দু’সপ্তাহ সময় পেলে ভাল হয়।’’