ফাইল চিত্র।
গত রবিবারই তিনি কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি দূর করতে এক দিন বিশ্রাম নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন রয় কৃষ্ণ।
গত মরসুমে আইএসএলের ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি এটিকে-মোহনবাগানের। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে হেরে মাঠ ছেড়েছিলেন প্রীতম কোটালরা। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে এই মরসুমে শক্তিশালী দল গড়েছেন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। সদ্য ইউরো ২০২০-তে ফিনল্যান্ডের হয়ে খেলা মিডফিল্ডার জনি কাউকো-কে সই করিয়েছেন তিনি। মুম্বই সিটি এফসি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছেন গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহ ও হুগো বুমোসকে। এ ছাড়াও হায়দরাবাদ এফসি থেকে এটিকে-মোহনবাগানে যোগ দিয়েছেন প্রতিশ্রুতিমান লিস্টন কোলাসো। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি থেকে সই করানো হয়েছে ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতাকে।
এই মুহূর্তে সবুজ-মেরুনের স্পেনীয় কোচের পাখির চোখ এএফসি কাপে ভাল ফল করা। চলতি বছরের মে মাসে মলদ্বীপে এএফসি কাপের দক্ষিণাঞ্চল ‘ডি’ গ্রুপের খেলা। মোহনবাগানের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, মলদ্বীপের মাজ়িয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব। চতুর্থ দল হিসেবে যোগ দেবে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু এফসি বনাম ক্লাব ইগলসের মধ্যে জয়ীরা। করোনা অতিমারি ও বেঙ্গালুরুর কয়েক জন ফুটবলার স্বাস্থ্যবিধি ভাঙায় সেই সময় স্থগিত হয়ে গিয়েছিল এএফসি কাপে ‘ডি’ গ্রুপের সব খেলা। মাসখানেক আগেই এএফসি কাপের এই পর্বের ম্যাচের নতুন সূচি ঘোষণা করে এশিয়ার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। ১৫ অগস্ট প্লে-অফে সুনীল ছেত্রীরা মুখোমুখি হবেন মলদ্বীপের ক্লাব ইগলসের। এটিকে-মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ১৮ অগস্ট। প্রতিপক্ষ প্লে-অফে জয়ী দল। ২১ অগস্ট দ্বিতীয় ম্যাচে কৃষ্ণেরা খেলবেন মাজ়িয়ার বিরুদ্ধে। ২৪ অগস্ট গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংস।