দিন কয়েক আগে সুরেশ রায়না প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে বিঁধেছিলেন। জানিয়েছিলেন, দল থেকে ছেঁটে ফেলার পরেও প্রসাদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কেন তাঁকে দলে নেওয়া হল না, সে বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানাননি প্রসাদ।
রায়নার সঙ্গে লাইভ চ্যাটে রোহিত শর্মা বলেছেন, ‘‘আমি জানি দীর্ঘ দিন ধরে খেলার পরে এ ভাবে দল থেকে বাদ পড়া মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা তো আলোচনা করি, আমাদের দলে যে ভাবে হোক রায়নাকে দরকার। তোমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বোলিং ও ফিল্ডিং দুটোই ভাল করতে পারো। তোমাকে আমরাও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখেছি। যে ভাবেই হোক আমরা চাই তুমি দলে ফেরো। তবে এগুলো তো আমাদের হাতে নেই।’’
২০১১ সালে ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলের সদস্য ছিলেন রায়না। তার দু’বছর পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত। সেই দলের সদস্য ছিলেন তিনি। শেষ বার দেশের জার্সিতে রায়নাকে দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরে। সেই সফরে খুব একটা সুযোগ পাননি রায়না। তার পরেই দল থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: কোহালি ক্রিকেটের ফেডেরার, মত এবির
এমনকি ২০১৯ বিশ্বকাপেও রায়নার কথা ভাবা হয়নি। রোহিতের কথার সূত্র ধরে রায়না বলেন, ‘‘আমার চোট ছিল। অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এ কারণেই হয়তো দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার মধ্যে এখনও অনেক ক্রিকেট রয়েছে। দল নির্বাচন আমাদের কারওরই হাতে নেই। আমরা কেবল পারফরম্যান্সই করতে পারি। আমি নিজের খেলা উপভোগ করেছি। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে তারকারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।’’
রায়না অবশ্য এ বারের আইপিএল-এ সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইপিএল-এর ভবিষ্যতই এখন প্রশ্নের মুখে। জাতীয় দলে রায়নার প্রত্যাবর্তনও প্রশ্নের সামনে।