বেঙ্গালুরুতে এখন ট্রেনিং চলছে রোহিতের। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে কেন এত হইচই হচ্ছে, তা নাকি বুঝতেই পারছেন না রোহিত শর্মা! তাঁর কাছে এটা নাকি শুধু অবাক করার মতোই বিষয় নয়, বরং তা রীতিমতো বিভ্রান্তিরও। আর সেটাই সোজাসুজি জানিয়ে দিলেন হিটম্যান।
এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাদেমিতে স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং নিয়ে পরিশ্রম করছেন তিনি। সেখান থেকেই সংবাদ সংস্থাকে রোহিত বলেছেন, “জানি না ঠিক কী হচ্ছে। লোকজন কী নিয়ে কথা বলছে তাও বুঝতে পারছি না। তবে আমি পরিষ্কার বলতে চাই যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি এই ব্যাপারে।”
চোটের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন রোহিত। তার কয়েক দিনের মধ্যেই আইপিএলে মুম্বইয়ের হয়ে নেমে পড়েন তিনি। ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৫০ বলে ৬৮ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসও খেলেন। তার আগেই অবশ্য ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দলে নেওয়া হয়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন: আইপিএলে কপিলের হিরো কে জানেন?
এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, “আমি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যানেজমেন্টকে বলেছিলাম যে মাঠে নামতে পারব। কারণ এটা সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট। তাই পরিস্থিতি সামলাতে পারব সহজেই। এক বার মনস্থির করে নেওয়ার পর কী করতে হবে শুধু সে দিকেই ফোকাস করেছি।” এখন হ্যামস্ট্রিংয়ের অবস্থা কী? রোহিতের উত্তর, “এখন একেবারে ঠিক আছে। শক্তি বাড়ানোর পদ্ধতি শুরু করেছি। দীর্ঘমেয়াদি ফরম্যাটে নামার আগে আমি মানসিক ভাবে নিশ্চিত হতে চাই যে সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। আর সেই কারণেই জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এসেছি।”
আইপিএলে তাঁর চোট নিয়ে মুম্বইয়ের হয়ে খেলা নিয়ে যত সমালোচনাই হোক না কেন, রোহিত বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর কথায়, “এক্স, ওয়াই বা জেড কী বলল অস্ট্রেলিয়ায় আমার খেলতে পারা নিয়ে তা ভেবে সময় নষ্ট করতে চাই না। চোট লাগার পরের ২ দিন ধরে ভেবেছিলাম আগামী ১০ দিনে আমার কী করণীয়। ভেবেছিলাম আমি খেলতে পারব, নাকি পারব না।”
আরও পড়ুন: রোহিতের না থাকা মানেই অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া, দাবি ম্যাক্সওয়েলের
মাঠে নামলে তবেই ফিটনেস কেমন, শরীর কতটা ধকল নিতে পারছে, তা বোঝা যায় বলে জানিয়েছেন রোহিত। ৫ বারের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক বলেছেন, “হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের মাত্রা প্রতি দিন বদলে যাচ্ছিল। আমি তাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম খেলার ব্যাপারে। আর দলকে সেটাই বলেছিলাম। বলেছিলাম যে শুধু প্লে অফে খেলতে সমস্যা হবে না। আর অসুবিধা হলে প্লে অফে খেলব না।”
টেস্ট সিরিজের জন্য তৈরি হতে রোহিতের হাতে রয়েছে সাড়ে তিন সপ্তাহ। ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেডে শুরু হচ্ছে টেস্ট সিরিজ। মুম্বইকর বলেছেন, “আমার হ্যামস্ট্রিং নিয়ে আরও কিছু কাজ করা বাকি। তার জন্যই সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাইনি। কারণ, ওখানে পর পর ম্যাচ ছিল। ১১ দিনে ৬টার মতো ম্যাচ খেলতে হত। আমি তাই ভেবেছিলাম ২৫ দিনের জন্য পরিশ্রম করত হবে। আর ওখানে পৌঁছে টেস্ট খেলতেও পারব। আমার কাছে তাই এটা সহজ সিদ্ধান্তই ছিল। জানি না অন্যদের কাছে কেন এটা খুব জটিল দেখাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ‘কোনও দেশেরই ক্রিকেটারদের ছাড়া উচিত নয়’, আইপিএলের বিরুদ্ধে সরব বর্ডার