অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ট্রফি নিয়ে ফেডেরার। ছবি: রয়টার্স।
আজও ট্রফিটা হাতে নিয়ে কেঁদে ফেলেন ২০ বারের গ্র্যান্ডস্লাম উইনার। আসলে মাঝের সময়টা বেশ খারাপ কেটেছে। গত বছর থেকেই আবার ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। তা ধরে রাখলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পর্যন্ত। মেলবোর্ন পার্কে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ষষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনটা নিজের দখলেই রাখলেন রজার ফেডেরার। যাঁদের সামনে খেলতে পেরে সম্মানিত বোধ করার কথা কোর্টে দাঁড়িয়ে বলছিলেন ফেডেরার সেই রড লেভার আনন্দে গ্যালারিতে বসেই সেলফি তুললেন। হয়তো ফেডেরারের ২০তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্মৃতিটা নিজের কাছে ধরে রাখতে চাইলেন।
মারিন চিলিচ কিন্তু শুরুতে লড়াইটা দিয়েছিলেন সমানে সমানেই। সামনে যখন ফেডেরার তখন তাঁর জন্যও সহজ ছিল না এই ফাইনাল। ২০ বারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন আরও একটি রেকর্ড করলেন এ দিন। এই নিয়ে ৩০ বার গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনাল খেললেন সুইস তারকা। ৩৬ বছর বয়সেও দেখিয়ে দিলেন ঘুরে দাঁড়ানো হয়তো একেই বলে। ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি ফেডেরার। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চিলিচকেও। প্রতিবছর পরিবারের সঙ্গে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সময়টা যে এখানে তিনি দারুণভাবে উপভোগ করেন সেটাই কোর্টে দাঁড়িয়ে বলেন তিনি।
ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষকে প্রথম সেটে দাঁড়াতেই দেননি ফেডেরার। ৬-২এ সহজেই সেই সেট জিতে নিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যে নামা রজার। কিন্তু পরের সেটেই ঘুরে দাঁড়ান চিলিচ। যে সেট অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় ফেডেরারের। ৬-৭এ হেরে তৃতীয় সেটে জয়ে ফেরেন এ বারের চ্যাম্পিয়ন। ফল ৬-৩। কিন্তু এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেন না তাঁর প্রতিপক্ষ। পাল্টা আঘাতে একই ফলে হারিয়ে দেন ফেডেরারকে। ৩-৬ চিলিচের পক্ষে। শেষ সেটে যেন মরিয়া হয়ে ওঠেন ফেডেরার। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েননি চিলিচের জন্য। পঞ্চম ও শেষ সেট ৬-১এ জিতে নিতেই বাজিমাত।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না সাইনার
তিন ঘণ্টা তিন মিনিটের লড়াই শেষে উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ তো ছিলই। ছিল গোটা গ্যালারির ফেটে পড়া। ১১ ম্যাচে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শেষ করলেন ফেডেরার। এর আগে ফেডেরার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন ২০০৪, ২০০৬, ২০০৭, ২০১০ ও ২০১৭তে। যদিও এই মুহূর্তে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রাফায়েল নাদালই। দ্বিতীয় স্থানে ফেডেরার। কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং তিনে উঠে এলেন চিলিচ।