অনুশীলনে মগ্ন রজার। এএফপি
উইম্বলডন ফাইনালে মহাকাব্যিক লড়াইয়ে নোভাক জোকোভিচের কাছে হার নিয়ে আর ভাবছেন না রজার ফেডেরার। কুড়িটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিকের মাথায় এখন শুধুই যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। যার প্রথম রাউন্ডে তিনি মুখোমুখি হবেন ভারতের সুমিত নাগালের।
রবিবার ফেডেরার বললেন, ‘‘মনে হয় না আগে কখনও এখানে এতটা তরতাজা হয়ে খেলতে এসেছি। শেষ কয়েক বছরে তো নয়ই। যা আমাকে এ বারের টুর্নামেন্টের জন্য অবশ্যই আলাদা শক্তি দিচ্ছে।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘আমি যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের জন্য পুরোপুরি তৈরি। জানি এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়া খুব কঠিন। তবে এটাও মনে হচ্ছে যে, যারা ট্রফি জিততে চায় তাদের আমিও একজন।’’
ফেডেরার যাই বলুন, টেনিস মহলে এখনও তাঁর মাত্র এক পয়েন্ট দূরে থেকেও উইম্বলডন খেতাব হাতছাড়া হওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে। ফেডেরার নিজে কিন্তু এই প্রসঙ্গ আর বিশেষ পছন্দ করছেন না। তাঁর কথা, ‘‘ওখানে তো এর আগেও জয়ের অনেক কাছে এসে খালি হাতে ফিরেছি। আবার এটাও তো সত্যি যে উইম্বলডনে বহু ম্যাচ দারুণ ভাবে জিতেওছি। কিন্তু তার মানে এই নয়, সারাক্ষণ এটা নিয়ে ভেবে যেতে হবে।’’ এখানেই থামেননি রজার। বলেছন, ‘‘তা ছাড়া নোভাকের কাছে হেরে আমার যতটা না মন খারাপ হয়েছিল, তার থেকে বেশি অবাক হয়েছি। কিন্তু আবার বলছি, এটা নিয়ে বেশি ভেবে পরের টুর্নামেন্টগুলোয় নিজের ছন্দ নষ্ট করতে চাই না।’’ সঙ্গে অবশ্য ফেডেরার এ-ও জানিয়েছেন, উইম্বলডনের সেই ফাইনালে তাঁর জন্য অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। তার একটা অবশ্যই নোভাকের বিরুদ্ধে অসাধারণ লড়াই করা। ফেডেরার মনে করেন, এই ব্যাপারটা তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে আরও ভাল খেলতে উদ্বুদ্ধ করবে। ‘‘বহু ম্যাচ তো আগেও হেরেছি। কিন্তু তা নিয়ে বেশি ভাবার সময় থাকে না। উইম্বলডনের পরেই যেমন পরিবারকে নিয়ে ছুটি কাটাতে যাই। তখন আর এ সব নিয়ে ভাবিনি। তবু কখনও কখনও মনে হতে পারে, এটা করলে ভাল হত বা ওটা ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না! কিন্তু পরের দিনই স্ত্রীর সঙ্গে পানীয় নিয়ে বসে মনে হয়েছে, ফাইনালে হারলে কী হয়েছে, সেমিফাইনালে তো আমি দারুণ খেলে জিতেছিলাম,’’ বলেছেন কিংবদন্তি তারকা।
উইম্বলডনের পরে ফেডেরার কিন্তু সিনসিন্নাটি ওপেনে টেনিস জীবনের শেষ ষোলো বছরে দ্রুততম পরাজয় হজম করে খেলতে এসেছেন নিউইয়র্কে। সেখানে তাঁকে হারান আন্দ্রেই রুবলেভ। যা নিয়ে ফেডেরারের রসিকতা, ‘‘হতে পারে ওখানে হেরে ভালই হয়েছে। নিউ ইয়র্কে নামার আগে কয়েক দিন অতিরিক্ত বিশ্রাম পেয়ে গেলাম।’’