চমক: উইম্বলডনে ফেডেরারের সেই বিশেষ জুতো। ছবি: গেটি ইমেজেস
উইম্বলডনে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রজার ফেডেরারের জুতো। সাত বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নের জুতোয় এ বারের থিম হচ্ছে লন্ডন। তিন দর্শনীয় প্রতীক টাওয়ার ব্রিজ, ‘দ্য শার্ড’ ও ঐতিহাসিক নেলসন’স কলাম রয়েছে এ বার ফেডেরারের জুতোয়।
সঙ্গে থাকছে ৭ সংখ্যাটা। সাত বার উইম্বলডন জয়ের প্রতীক হিসেবেই থাকছে ওই বিশেষ সংখ্যাটি। প্রসঙ্গত, অষ্টমবার উইম্বলডন জেতার ব্যাপারে এ বার জুয়াড়িদের ফেভারিট ফেডেরারই। জনতার সেরা পছন্দও নিশ্চয়ই তিনিই। বিশেষজ্ঞরাও এ বার ফেডেরারকে উপরে রাখছেন কারণ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলীয় ওপেন জিতে তিনি দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। আর তিনি যে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন, সেটা বৃহস্পতিবারও বুঝিয়ে দিলেন ফেডেরার। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে দুসান লাজোভিচ-কে তিনি উড়িয়ে দিলেন ৭-৬, ৬-৩, ৬-২।
প্রথম রাউন্ডে মাত্র ৪৩ মিনিট কোর্টে ছিলেন ফেডেরার। তাঁর বিপক্ষ আলেকজান্ডার দোগোপোলভ চোটের জন্য ওয়াকওভার দিয়ে কোর্ট ছেড়ে চলে যান। সে দিন মন ভরেনি ফেডেরার-ভক্তদের। দ্বিতীয় রাউন্ডে কিন্তু ভক্তদের আশ্বস্তই করে গেলেন তিনি যে, জিততেই এসেছেন। সহজ জয় পেয়ে ফেডেরার বলছেন, ‘‘শুরুর দিকে একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। আমার এখানে খেলতে খুব স্বচ্ছন্দ লাগা উচিত। নিজেেক সেটা বারবার বলছিলাম যে আমাকে চাপ কাটাতেই হবে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘দ্বিতীয় ম্যাচে বেসলাইন থেকে ভাল খেলছিলাম।’’
আরও পড়ুন:ভক্তকে হারালেন জোকার
সাত বারের উইম্বলডন জয়ের কৃতিত্বকে আরও স্মরণীয় করার লড়াই এ বার ফেডেরারের। ছবি: গেটি ইমেজেস
দুরন্ত ফর্ম এবং অভিনব জুতোর পাশাপাশি আরও একটি ব্যাপার নিয়ে ফেডেরার শিরোনামে। মঙ্গলবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠক সেরে বেরনোর সময় মিডিয়া সেন্টারের বাইরে অপেক্ষারত জাপানের ইউয়িচি সুগিতাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান ফেডেরার। তাতে সুগিতা মুগ্ধ। সুগিতা বলেছেন, ‘‘এই উইম্বলডন আমার কাছে আরও বেশি স্পেশ্যাল হয়ে উঠল এই ঘটনার পর। নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রেরণা পেয়ে গেলাম। দেখা যাক কতদূর এগোতে পারি।’’
বেশি দূর অবশ্য সুগিতা এগোতে পারেননি। বৃহস্পতিবারই ১৬ নম্বর কোর্টে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে তিনি হেরে যান। তবে ফেডেরারের অভিনন্দনে পাওয়া প্রেরণার জোরে ই কি না কে জানে, পাঁচ সেট তুমুল লড়াই করেন। অবশেষে হেরে যান ফ্রান্সের আদ্রিয়ান মানারিনোর কাছে। যাঁকে আগের টুর্নামেন্টেই ফাইনালে হারিয়েছিলেন ২৮ বছরের জাপানি খেলোয়াড়টি।
প্রথম ম্যাচে লড়াই না করলেও অবশ্য একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন ফেডেরার। জীবনের দশ হাজারতম এস মেরে ঢুকে পড়লেন এলিট এস ক্লাবে। যেখানে এত দিন ছিলেন ইভো কার্লোভিচ ও গোরান ইভানিসেভিচ। প্রথমজনের এস-এর সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি। গোরান মেরেছেন ১০,১৩১টি। তবে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি বরাবরই সার্ভিসে বৈচিত্র আনতে চেয়েছি।’’