১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় আইপিএলের নিলাম। মোট ৩৩২ জন ক্রিকেটারের নাম উঠবে নিলামে। প্রাথমিক ভাবে ৯৯৭ জন ক্রিকেটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। তার মধ্যে থেকে নিলামে উঠবেন মাত্র ৩৩২ জন। এর মধ্যে ১৮৬ জন ভারতীয়, ১৪৩ বিদেশি আর তিনজন অ্যাসোসিয়েটস দেশের। এদের মধ্যে ২ কোটি টাকা বেস প্রাইস রয়েছে মাত্র সাতজনের।
প্যাট কামিংস (বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা): অস্ট্রেলিয়ার ডান হাতি পেসার এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে ২৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ২০.১২ গড়ে নিয়েছেন ৩২ উইকেট। ইকনমি রেট ৬.৭৭। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পেসারদের মধ্যে পড়েন তিনি। আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন তিনি।
জোশ হ্যাজলেউড (বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা): ইনিও অস্ট্রেলিয়ার পেসার। এবং ডান হাতি। জানুয়ারিতে ২৯ বছরে পড়বেন তিনি। দেশের হয়ে সাত টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন আট উইকেট। গড় ৩৩.৬২, ইকনমি রেট ৯.৬০। ৩০ রানে চার উইকেট তাঁর সেরা বোলিং। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ছিলেন তিনি।
ক্রিস লিন (বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা): গত মরসুমে হতাশ করায় কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। ফলে নিলামে উঠছেন অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি ওপেনার। আইপিএলে শুধু কেকেআর নয়, ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়েও খেলেছেন তিনি। দেশের হয়ে ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৯.৪০ গড়ে ২৯১ রান করেছেন লিন।
মিচেল মার্শ(বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা): অলরাউন্ডার বলেই গুরুত্ব বেশি শন মার্শের ভাইয়ের। দেশের হয়ে ১১ টি-টোয়েন্টিতে ২১.৮৭ গড়ে ১৭৫ রান করেছেন তিনি। অজি ডানহাতি পেসার ২৬ গড়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। আইপিএলে এর আগে ডেকান চার্জার্স, পুণে ওয়ারিয়র্স, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস দলে খেলেছেন তিনি।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা): আইপিএলে বড় তারকা হলেন এই অজি অলরাউন্ডার। গ্যালারিতে বল ফেলার মতো শক্তি ধরেন। নিতে পারেন বোলারকে চমকে দেওয়ার মতো শটও। টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে ৬১ ম্যাচে ৩৫.০২ গড়ে ১৫৭৬ রান করেছেন তিনি। তিন সেঞ্চুরিও রয়েছে। নিয়েছেন ২৬ উইকেটও।
ডেল স্টেন (বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা): এই প্রজন্মে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা পেসারদের মধ্যে অন্যতম। আইপিএলেও খেলছেন দীর্ঘদিন ধরে। ডেকান চার্জার্স, গুজরাত লায়ন্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪৪ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৬১ উইকেট।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ (বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা): ৩২ বছর বয়সি শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলোর অভিজ্ঞতা অগাধ। আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, পুণে ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন। দেশের হয়ে ৭২ টি-টোয়েন্টিতে ২৭.০৫ গড়ে করেছেন ১০৫৫ রান। নিয়েছেন ৩৭ উইকেট।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে নিলামে সবচেয়ে বেশি বেস প্রাইস রবিন উথাপ্পার। তাঁর বেস প্রাইস ১.৫ কোটি টাকা। তবে গত মরসুমে মাত্র একটা হাফ সেঞ্চুরি করায় তাঁকে দলে রাখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও একসময় কেকেআরকে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে ১৩ টি-টোয়েন্টিতে ২৪৯ রান করেছেন উথাপ্পা।
গত মরসুমের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর পীযূষ চাওলাকেও ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও কেকেআরের জার্সিতে একসময় নিয়মিতই খেলেছেন এই লেগস্পিনার। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের জার্সিও উঠেছে তাঁর শরীরে। দেশের হয়ে সাত টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর বেস প্রাইস ১ কোটি টাকা।
ইউসুফ পাঠানের বেস প্রাইসও ১ কোটি টাকা। ৩৭ বছর বয়সি আইপিএলে খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। দেশের হয়ে ২২ টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ২৩৬ রান। স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৫৮। আইপিএলেও বড় শট নেওয়ার জন্যই তিনি পরিচিত। সঙ্গে অফস্পিনও করেন।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ১ কোটি টাকা বেস প্রাইস আর শুধু উনাদকাটেরই রয়েছে। শেষ আইপিএল নিলামে ৮.৪ কোটি টাকা দর উঠেছিল বাঁ-হাতি পেসারের। কিন্তু পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না। মোহভঙ্গ ঘটায় রাজস্থান রয়্যালস ছেড়ে দিয়েছে তাঁকে।