প্রস্তুতি: আইপিএলে প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ কেকেআর। বেঙ্গালুরুতে অনুশীলনে মগ্ন বিরাট কোহালি। ছবি: পিটিআই
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে কোনও দিন আইপিএল জিততে পারেননি বিরাট কোহালি। তিন বার ফাইনালে উঠেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই এ বার ট্রফি জিততে মরিয়া অধিনায়ক কোহালি। বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আরসিবি সমর্থকদের চেয়েও বেশি করে আমি এই ট্রফিটা জিততে চাই।’’
রবিবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এ বারের অভিযান শুরু করছে আরসিবি। তার আগে এ দিন চিন্নাস্বামীতে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোহালি বলেন, ‘‘গত ১০ বছর ধরে আমি আরসিবি-র হয়ে খেলছি। তিন বার ফাইনালে উঠেও ট্রফিটা জিততে পারিনি। মাঠে নেমে ১২০ শতাংশ দিতে আমি প্রস্তুত। আমার একটাই লক্ষ্য। ট্রফি জেতা। আমাদের সমর্থকদের চেয়েও বেশি করে আমি এই ট্রফিটা জিততে চাই।’’
বরাবরই আরসিবি-র ব্যাটিং ভাল হলেও বোলিং সমস্যায় ফেলত তাদের। কিন্তু কোহালি মনে করছেন, এ বার তাঁদের বোলিং আক্রমণও যথেষ্ট শক্তিশালী। কোহালি বলেছেন, ‘‘গত কয়েক বছর ব্যাটিং আমাদের শক্তি ছিল। এ বার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিং আক্রমণও যথেষ্ট শক্তিশালী। নিলামে আমরা ভাল বোলার নেওয়ার দিকে ঝুঁকেছিলাম। তাই এ বারে সফল হওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’’
আরসিবি-র স্পিন আক্রমণ এ বার অন্যান্য বারের চেয়ে অনেক ভাল। যুজবেন্দ্র চহালের সঙ্গে রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর, মুরুগান অশ্বিন, পবন নেগি এবং ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মইন আলি। পেসারদের মধ্যে রয়েছেন উমেশ যাদব, ক্রিস ওক্স, টিম সাউদি-রা। সব মিলিয়ে গত কয়েকটি মরসুমের চেয়ে এ বার ভাল বোলিং নিয়েই নামবে আরসিবি। নিলামে কেনা নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে কোহালি বলেছেন, ‘‘এদের কয়েক জনকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। আমরা এমন ক্রিকেটারদের দলে নিয়েছি, যারা আমাদের টিম সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ওপর আমরা সব সময় জোর দিচ্ছি না।’’
আরসিবি কোচের তালিকায় এ বার রয়েছেন গ্যারি কার্স্টেন। কোহালি বলছেন, ‘‘দলের তরুণ ক্রিকেটারেরা গ্যারির কোচিংয়ে দারুণ উপকৃত হবে। গ্যারি যখন ভারতের কোচ ছিল, তখন আমিও উপকৃত হয়েছিলাম।’’ ক্রিকেট থেকে তিন সপ্তাহ দূরে থাকার পরে গত ১২ দিন ধরে অনুশীলন চলছে কোহালির। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন ১০০ শতাংশ তৈরি। যেটা ১১০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।’’