ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে অভ্রান্ত ছিলেন ধোনি। উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে ছিলেন দারুণ ক্ষিপ্র। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেটের মুখচ্ছবিটাই বদলে দিয়েছেন তিনি। শুধু একটা নয়, তিনটে ফরম্যাটেই তিনি সেরা হয়েছেন। বদলে দিয়েছেন ক্রিকেটের সংজ্ঞাটাই। ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী এ ভাবেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে ব্যাখ্যা করলেন। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ধোনির স্টাম্পিং, রান আউট দেখে মুগ্ধ শাস্ত্রীর মনে হয়েছে, পকেটমারদের থেকেও বেশি ক্ষিপ্র ছিলেন ধোনি।
দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার সন্ধে ৭টা ২৯ মিনিটে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক জানিয়ে দেন যে, তিনি অবসর নিয়ে ফেললেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। ধোনির প্রশংসা করে শাস্ত্রী বলছেন, ‘‘এই লোকটা দ্বিতীয় হতে আসেনি। ক্রিকেটটাই বদলে দিয়েছে ধোনি। সব থেকে বড় ব্যাপার হল, তিন ফরম্যাটেই ও সেরা হয়েছে। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বকাপ জিতেছে। একাধিক বার আইপিএল জিতেছে। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জিতেছে। টেস্ট ক্রিকেটে ভারতকে এক নম্বর জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।’’
ধোনির জীবন তাঁর ক্রিকেটের মতোই চমকপ্রদ। টিকিট পরীক্ষক থেকে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। শাস্ত্রী বলছেন, ‘‘জীবন যখন যে ভাবে ধরা দিয়েছে ধোনির সামনে, ঠিক সে ভাবেই ও নিজেকে বদলে ফেলেছে। অবসরের পরেও ওর জীবন আগের মতোই এগিয়ে চলবে। আমি আগেও বলেছি আবারও বলেছি, ও দ্বিতীয় হতে আসেনি।’’
আরও পড়ুন: ছক্কা প্রতি পুরস্কার ৫০ টাকা, রাঁচীর যুবকের হেয়ারস্টাইল, বাইকপ্রেমের নেপথ্যে বলি নায়ক
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলতেন, উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ধোনি গোটা দল পরিচালনা করতেন। উইকেট না দেখেই রান আউট করতেন ব্যাটসম্যানকে। স্টাম্পিংয়ের সময়ে বিদ্যুৎগতিতে চলত তাঁর হাত। ধোনির উইকেট কিপিংয়ে মুগ্ধ শাস্ত্রী বলছেন, ‘‘সহজাত উইকেট কিপার বলতে যা বোঝায়, ধোনি তেমনটা ছিল না। কিন্তু ওর কার্যকারিতা মারাত্মক। ওর প্রভাবটা এক বার খেয়াল করে দেখুন। আমার মতে ওর স্টাম্পিং ও রান আউট করার ক্ষমতা ছিল দেখার মতো। উইকেট কিপার হিসেবে ধোনি পকেটমারের থেকেও বেশি ক্ষিপ্র ছিল। ব্যাটসম্যান বুঝেই উঠতে পারত না ধোনি কখন বেল ড়িয়ে দিয়েছে।’’
বিদায়ের মুহূর্ত নিজেই লিখে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রাক্তনের দলে চলে গেলেন ধোনি। তাঁর শূন্যস্থান কবে, কী ভাবে পূরণ হবে, সেটাই এখন দেখার।