স্মরণীয়: সেই বেসিন রিজার্ভ। ১৯৮১-র পরে ২০২০। একই দিনে শুরু টেস্টে শাস্ত্রী কোচ। ছবি টুইট করলেন নিজেই।
ঠিক ৩৯ বছর আগে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে নিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন রবি শাস্ত্রী। সে দিনটা ছিল ১৯৮১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। আবার সেই বেসিন রিজার্ভে ফিরে এসেছেন শাস্ত্রী। আবার ভারত টেস্ট খেলতে নামবে সেই ২১ ফেব্রুয়ারি। তবে এ বার তিনি ভারতীয় কোচ। বৃহস্পতিবার আবেগাপ্লুত শাস্ত্রী টুইট করেন, ‘‘ঠিক ৩৯ বছর আগের কথা। সবাই বলে, যা চলে যায়, তা আবার ফিরেও আসে। একই দিনে, একই মাঠে, একই শহরে, একই দলের বিরুদ্ধে আমার টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল। কী রকম যেন অপার্থিব লাগছে।’’
এর পরে চেতেশ্বর পুজারাকে সাক্ষাৎকার দিতে বসে শাস্ত্রী আরও এক বার ফিরে যান অতীতে। বলেন, ‘‘৩৯ বছর আগের সেই ড্রেসিংরুমটাও বদলায়নি।’’ কী রকম লাগছে ক্রিকেটার থেকে কোচের এই যাত্রাপথ? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ভিডিয়োয় শাস্ত্রীর জবাব, ‘‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, ওই একই মাঠে বসে আছি। মনে আছে, টেস্ট শুরুর আগের রাতে ওয়েলিংটনে পৌঁছেছিলাম। তখন রাত প্রায় সাড়ে ন’টা। হোটেলে পৌঁছেই ঘুমিয়ে পড়ি। পরের দিন সানি (সুনীল গাওস্কর) টস হারায় আমাকে সোজা মাঠে নেমে পড়তে হয়।’’
অভিষেক টেস্টেই ছয় উইকেট নিয়েছিলেন শাস্ত্রী। কী রকম ছিল সেই অনুভূতি? ভারতের হেড কোচ বলেছেন, ‘‘প্রথম দিন একটু নার্ভাস ছিলাম। জেরেমি কোনিকে আউট করে ধাতস্থ হই। ওখানকার পরিবেশ আর আমাদের দেশের পরিবেশ আলাদা। প্রচণ্ড ঠান্ডা, খুব হাওয়া দিচ্ছিল।’’ একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন শাস্ত্রী, ‘‘আমার একটা সোয়েটারও ছিল না। পলি উমরিগর আমাকে সাহায্য করেছিলেন। পলি কাকার দেওয়া সোয়েটার পরে খেলতে নেমেছিলাম।’’ নিজের প্রথম টেস্ট নিয়ে শাস্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে সে দিন যাঁকে প্রথম দেখেছিলাম, তিনি রিচার্ড হ্যাডলি। তার পরে একে একে চোখে পড়ল কোনি, কেয়ার্সনদের।’’ ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কে আপনার আদর্শ ছিল? শাস্ত্রীর জবাব, ‘‘গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ। ওই প্রথম ভিশির সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়। তা ছাড়া সানি, কপিল ছিল। দলের অর্ধেককেই আমি প্রথম ওখানে দেখি।’’ এখন কোচ হয়ে কেমন লাগছে? পুজারার প্রশ্নে আপ্লুত শাস্ত্রী বলেন, ‘‘তোমাদের ধন্যবাদ। দারুণ একটা দলকে কোচিং করাতে পারছি। ’’