বচসার মুহুর্ত।
রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বই বনাম বরোদা ম্যাচে তৃতীয় দিন যদি নজর কেড়ে থাকেন পৃথ্বী শ, চতুর্থ দিন আলোচনার কেন্দ্রে অজিঙ্ক রাহানে ও ইউসুফ পাঠান।
ইউসুফকে আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরেও মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কোনও ভাবেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। রাহানে তাঁকে ক্রিজ ছেড়ে প্যাভিলিয়নে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তখনই ভারতীয় টেস্ট দলের সহ-অধিনায়কের সঙ্গে বিবাদে জড়ান ইউসুফ। আম্পায়ার যদিও তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে নড়েননি। ইউসুফ ফিরে যাওয়ার পরে মুম্বই বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বরোদা। ৩০৯ রানে প্রথম ম্যাচ হারে তারা।
অন্য দিকে কর্নাটক বনাম তামিলনাড়ু ম্যাচ শেষ হয় তিন বল বাকি থাকতে। রঞ্জিতে এত হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ শেষ কবে হয়েছে জানা নেই। শেষ ওভারে হাতে ছিল এক উইকেটে। দীনেশ কার্তিকের দলের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ক্রিজে ছিলেন মুরুগন অশ্বিন ও কে ভিগনেশ। কৃষ্ণাপ্পা গৌতম শেষ ওভার বল করতে এসে তুলে নেন ভিগনেশকে। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ঝুলিতে আট উইকেট। ১৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা এই অফস্পিনার। ২৬ রানে জেতে কর্নাটক।
হায়দরাবাদকে তাদের ঘরের মাঠে আট উইকেটে হারাল গুজরাত। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রান করেন ওপেনার প্রিয়ঙ্ক পঞ্চাল। ৬৯ রানে অপরাজিত ভগবান মেরাই। জয়পুরে রাজস্থানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু করল পঞ্জাব। প্রথম ইনিংসে ১২২ রান করে ম্যাচের সেরা মনদীপ সিংহ।
গ্রুপ ‘এ’-তে দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ড্র করল কেরল। প্রথম ইনিংসে ৫২৫-৯ স্কোরে কেরল ডিক্লেয়ার করার পরে ১৪২ রানে শেষ হয়ে যায় দিল্লির প্রথম ইনিংস। তৃতীয় দিন ফের চা-বিরতির আগে ব্যাট করতে হয় দিল্লিকে। অনেকেই আন্দাজ করেছিলেন, এই ম্যাচ থেকে কোনও পয়েন্টই হয়তো নিয়ে ফিরতে পারবে না দিল্লি। কিন্তু নীতীশ রানা ও ওপেনার কুণাল চান্ডেলার সৌজন্যে শেষমেষ ড্র করে দিল্লি। ১২৫ রান করেন কুণাল। ১৬৪ বলে ১১৪ রান নীতীশের।
পরের ম্যাচে কেরল দলে ফিরছেন সঞ্জু স্যামসন। সে ক্ষেত্রে তাদের ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। পরের ম্যাচে সচিন বেবিদের প্রতিপক্ষ বাংলা। গত বার যাদের ইডেনে হারিয়ে দিয়েছিল কেরল। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ড্র করল গত বারের চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভ। দ্বিতীয় ইনিংসে রান পেলেন রিকি ভুই ও শ্রীকর ভরত। ২০৯ বলে ১০০ রানে অপরাজিত রিকি। ১০২ রানে অপরাজিত ভরত।