রেলওয়ে এফসি-র কোচ সৌরিন দত্ত
দীর্ঘ ৬৩ বছর পর কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেতাব জয়ের হাতছানি রেলের কোনও ক্লাবের সামনে। ১৯৫৮ সালে প্রথম বার তিন প্রধানকে পিছনে ফেলে কলকাতা লিগ জিতেছিল নিখিল নন্দী, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়দের ইস্টার্ন রেল। ৬৩ বছর আগের ইতিহাসের কথা বলেই ফুটবলারদের তাতাচ্ছেন রেলের কোচ সৌরিন দত্ত। শুক্রবার সেমিফাইনালে এক্সট্রা টাইমে জর্জ টেলিগ্রাফকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে রেলওয়ে এফসি। ম্যাচের পর দুই প্রধান নিয়ে বিস্ফোরক রেল কোচ।
ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান না খেলায় কি কিছুটা সুবিধা হল আপনাদের? প্রশ্ন শুনেই রেগে গেলেন রেল কোচ। আনন্দবাজার অনলাইনকে সৌরিন বলেন, ‘‘ওরা তো গত মরসুমেও খেলেছিল। পিয়ারলেস চ্যাম্পিয়ন হল কী ভাবে? ফুটবলে ওরকম কিছু হয় না। আমরা বরাবর দুই প্রধানের বিরুদ্ধেও ভাল খেলেছি। তাই নতুন করে বলার কিছু নেই। সব খেলা টেলিভিশনে দেখানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে। এটা খুব বড় প্রাপ্তি। ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান না খেললেও লিগের জৌলুস কমেনি। সেটা আইএফএ-এর জন্যই সম্ভব হয়েছে। ওরা এখন পেশাদার। আইএসএল-ই খেলুক।’’
যে রেল এতদিন প্রিমিয়ার ডিভিশনে অবনমন বাঁচাতে লড়াই করত সেই রেলকে বদলে দিয়েছেন সৌরিন। রেলের কোচ বলেন, ‘‘আমরা এবার কিছু পেশাদার ফুটবলার দলে নিয়েছি। পাশাপাশি রেলে চাকরি করা ফুটবলাররাও ছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভাল ফুটবল খেলা। সেটাই করে গিয়েছি। বলতে দ্বিধা নেই যে নিয়মে এবারের লিগ হয়েছে, সেটাও আমাদের বেশ সাহায্য করেছে। তবে ফুটবলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। সঙ্গে সঞ্জয় সেন রয়েছেন আমাদের পরামর্শদাতা হিসেবে। আর অন্য কর্তারাও খুব খাটছেন দলটার জন্য।’’
দুই প্রধান না থাকলেও লিগে ভাল ভাবেই রয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা খেলবে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে। সাদা-কালো শিবির ফাইনালে উঠলেও তাদের বিরুদ্ধে ভাল ফুটবল উপহার দেবে রেল, জানিয়ে দিলেন সৌরিন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পাসিং ফুটবল খেলব। ভাল খেলাই লক্ষ্য থাকবে। জেতা-হারা তো আমাদের হাতে নেই। সেটা নিয়ে বলতেও চাই না। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন, মহমেডানও কিন্তু লিগে হেরেছে। তাই ওরা অপরাজেয় নয়। আমরাও এটাই মাথায় রেখে খেলব।’’