ছবি: সংগৃহীত।
প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে পুজোর আগেই। কলকাতা লিগের অন্য ডিভিসনের ম্যাচও শেষ হওয়ার মুখে।
আর ঠিক এই আবহেই শুরু হয়ে গেল সাসপেন্ড সিরিজ। রেফারিদের মেরে বা ভাঙচুরের দায়ে অভিযুক্ত ফুটবলারদের শাস্তি দিতে শুরু করল আইএফএ। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে মোহনবাগানের শিল্টন পাল, কিংশুক দেবনাথ-সহ অন্তত সাতজন ফুটবলার শাস্তি পেতে চলেছেন।
শুক্রবার তা শুরু হয়ে গেল রহিম নবিকে দিয়েই। মোহনবাগান- পিয়ারলেস ম্যাচে রেফারি নিগ্রহের দায়ে দেশের এক সময়ের সেরা ফুটবলার নবিকে তিন ম্যাচ সাসপেন্ড করল লিগ সাব কমিটি। কলকাতা লিগে নবি এ বার খেলেছিলেন পিয়ারলেসের হয়ে। আই লিগের কোনও টিমে সুযোগ পেলে শুরুতে বসে থাকতে হবে তাঁকে।
সোমবার আবার ডালহৌসি-তালতলা দীপ্তি সংঘের প্রথম ডিভিশন লিগের ম্যাচ নিয়ে লিগ কমিটির সভা রয়েছে। ওই ম্যাচে সে দিনের রক্তাক্ত রেফারি রবিন বিশ্বাস যে কড়া রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে ডালহৌসির তিন ফুটবলার বিরা ওরাও, রানা মুখোপাধ্যায় এবং ভিনসেন্ট বিবেক দাশ বড় রকমের শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন। ছয় মাস তাঁদের নির্বাসনে পাঠাতে পারে আইএফএ। পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে ডালহৌসিরও।
এখানেই শেষ হচ্ছে না শাস্তি-সিরিজ! শিলিগুড়িতে ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতা ডার্বিতে গন্ডগোলের দায়ে অভিযুক্ত মোহনবাগান অধিনায়ক কিংশুক দেবনাথ ও গোলকিপার শিল্টন পালের শাস্তি বিরুদ্ধেও রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার কড়া রিপোর্ট দিয়েছেন। ধাক্কা দেওয়া থেকে পা চেপে ধরা, সব অভিযোগই আছে। যা খবর তাতে দু’ থেকে তিন ম্যাচ সাসপেন্ড ও জরিমানা করা হতে পারে দু’জনকেই। সাসপেন্ড হলে ওঁরা দু’জনেই আই লিগের শুরুতে খেলতে পারবেন না। তবে আইএফএ-র একটি অংশ চেষ্টা চালাচ্ছে শুধু জরিমানা করে দু’জনকেই ছেড়ে দেওয়ার। শাস্তি হতে পারে মোহনবাগান ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষেরও। তিনি এক আইএফএ সহ সচিবকে নিগ্রহ করেছিলেন ওই ম্যাচে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বললেন, ‘‘রেফারির রিপোর্টে কেউ অভিযুক্ত হলে তাদের শাস্তি
পেতেই হবে।’’