চির আবেগের গ্র্যান্ড স্ল্যাম যুদ্ধ

রজারও হয়তো ভাবেনি ফাইনালে উঠবে: নাদাল

ফেসবুকের খুব পরিচিত একটা পোস্ট যেন উঠে এসেছে ২০১৭ অস্ট্রেলীয় ওপেন ফাইনাল লাইন আপে! বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে বহু পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে তার নীচে একটা লেখা খুব দেখা যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৫
Share:

ছ’বছর পরে মহাম়ঞ্চে মুখোমুখি। -রয়টার্স, এএফপি

ফেসবুকের খুব পরিচিত একটা পোস্ট যেন উঠে এসেছে ২০১৭ অস্ট্রেলীয় ওপেন ফাইনাল লাইন আপে! বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে বহু পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে তার নীচে একটা লেখা খুব দেখা যায়। ‘থ্রোব্যাক’ বা ‘থ্রোব্যাক ইয়ার্স’, ইত্যাদি ইত্যাদি। শুক্রবার পুরুষ সিঙ্গলসের দ্বিতীয় সেমিফাইনালো রাফায়েল নাদাল ম্যারাথন পাঁচ সেটে ৬-৩, ৫-৭, ৭-৫ (৭-৫), ৬-৭ (৪-৭), ৬-৪ গ্রিগর দিমিত্রভকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পরে অস্ট্রেলীয় ওপেনকে অনেকটা সে ভাবে ডাকছে টেনিসমহল— থ্রোব্যাক ওপেন!

Advertisement

শনিবার মেয়েদের ফাইনাল সেরিনা-ভিনাসের মধ্যে। যাঁদের মিলিত বয়স প্রায় ৭২। তার চব্বিশ ঘণ্টা পরে রবিবার পুরুষদের ফাইনালের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর বয়সের যোগফল ৬৭। উইলিয়ামস বোনেরা ২০০৯-এর পর প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে ফের মুখোমুখি হচ্ছেন। টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা রাইভ্যালরি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে আবার দেখা যাচ্ছে ছয় বছর বাদে। ২০১১ ফরাসি ওপেন ফাইনালের পর আবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে মহাযুদ্ধ দুই মহানায়কে— রজার ফেডেরার বনাম রাফায়েল নাদাল।

বরিস বেকার বা জন ম্যাকেনরো, দুই কিংবদন্তির ভাবতে অবাক লাগছে যে, তরুণ প্রজন্মের ভিড়েও মরসুমের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের দুই বিভাগের সিঙ্গলস ফাইনালের চার প্রতিযোগীর মিলিত বয়স দেড়শোর উপর! মিলিত গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের সংখ্যা ৬০! বেকার তো বলেই ফেলেছেন, ‘‘রজার বোধহয় নিজেও ফাইনালে উঠবে ভাবেনি! ওকে হারাতে হলে বোধহয় ওর টেনিস-আত্মাকেও হারাতে হয়।’’

Advertisement

আর এ দিন ‘বেবি ফেড’কে (কম বয়সের ফেডেরারের সঙ্গে মুখের আদল এবং তাঁর মতোই বিরল ওয়ান হ্যান্ডেড ব্যাকহ্যান্ডের জন্য দিমিত্রভের পেশাদার ট্যুরে ডাকনাম) সেমিফাইনালে হারিয়ে উঠে নাদাল নিজেই স্বীকার করছেন, ‘‘অস্ট্রেলীয় ওপেনে আবার ফাইনাল খেলব স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার তো মনে হয় রজারও ভাবেনি, রবিবার ফাইনালটা আমাদের মধ্যে হবে! দু’জনের কাছেই এটা বিরাট স্পেশ্যাল ফাইনাল।’’

ফেডেরার গত জুনে উইম্বলডন সেমিফাইনালে রাওনিচের কাছে হারার পর চলতি ওপেনই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলছেন। সেখানে এই বয়সে চূড়ান্ত ম্যাচ ফিটনেস দেখিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে পরপর দুটো ‘ফাইভ সেটার’ জিতে ফাইনালে। নাদাল তো ২০১৪-এ শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ইস্তক নানা চোটে ভুগছিলেন। তিনিও ফাইনালে উঠতে দু’টো পাঁচ সেট জেতার ধকল সামলেছেন।

দেখার, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মহাযুদ্ধে কার স্ট্যামিনা-ফিটনেস শেষমেশ সঙ্গ দেয়। তবে একটা সত্য ইতিমধ্যেই ফের প্রতিষ্ঠিত। ফর্ম সাময়িক, ক্লাস চিরন্তন!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement