আরও একবার ফাইনালে উঠে ফেডেরার। ছবি: গেটি ইমেজেস
ফুটবলে লিও মেসি বনাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো এ হল টেনিসের ক্লাসিকো লড়াই। সাংহাই মাস্টার্সের ফাইনালেও মুখোমুখি রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল। যতই তাঁরা দু’জনে কয়েক দিন আগেই লেভার কাপে জুটি বেঁধে ডাবলস খেলে থাকুন, টেনিস দুনিয়া তাঁদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই চেনে। সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচই আবার পাওয়া যাবে রবিবার।
নাদাল ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) হারিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার মারিন সিলিচ-কে। দু’ঘণ্টা এগারো মিনিট লাগে তাঁর জিততে। ফেডেরারের বিপক্ষে ছিলেন আর্জেন্তিনীয় খুয়ান মার্তিন দেল পোত্রো। প্রথম সেট হেরে গিয়ে ভক্তদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রজার। কিন্তু দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে এর পর ম্যাচ জিতে নিলেন ৩-৬, ৬-৩, ৬-৩। দু’ঘণ্টার কিছু কম সময়ে জিতে যান তিনি।
এই নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থ বার মুখোমুখি হচ্ছেন দুই তারকা। সব মিলিয়ে ফাইনালে ২৪তম সাক্ষাৎ। জানুয়ারিতে নাদালকে হারিয়েই অস্ট্রেলীয় ওপেন জিতে তাঁর গ্র্যান্ড স্ল্যামের খরা কাটিয়েছিলেন ফেডেরার। শেষ চারটি সাক্ষাতের চারটিতেই জিতেছেন তিনি। কিন্তু তার চেয়েও জরুরি তথ্য হচ্ছে, মিলিতভাবে দু’জনের সংগ্রহে রয়েছে ৩৫টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। সিলিচ-কে হারানোর পরে নাদালকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল জয়ের ভঙ্গি নিয়ে। রাফার দ্রুত জবাব, ‘‘ভঙ্গি দিয়ে কিছু এসে-যায় না। খেলার সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। তাই কেউ কখনও সহজে জেতে না।’’ ফেডেরারের বিরুদ্ধে দেল পোত্রো কব্জির চোটের উদ্বেগ কাটিয়ে কোর্টে নামলেন। ম্যাচের আগে সংশয় তৈরি হয়েছিল তাঁর অংশগ্রহণ নিয়েই। খেলা শুরু হলে আবার অন্য এক সমস্যার সামনে পড়েন দেল আর্জেন্তিনীয়। দর্শকরা ভীষণভাবেই গলা ফাটাচ্ছিলেন ফেডেরারে পক্ষে। যা নিয়ে চেয়ার আম্পায়ারের কাছে প্রতিবাদও জানান দেল পোত্রো। তাতে অবশ্য নতুন ভাবে দৌড়তে থাকা রজার-রথ থামানো যায়নি। ক্লাসিক দ্বৈরথের আগে একটা ছোট তথ্য— ফেডেরারের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতে এখনও নাদাল এগিয়ে ২৩-১৪। এদিকে, ডোপিংয়ের দায়ে নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পরে এই প্রথম কোনও খেতাবের সামনে মারিয়া শারাপোভা। তিয়ানজিন ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন তিনি। বেলারুসের টিনএজার আরাইনা সাবালেঙ্কা তাঁর প্রতিপক্ষ।