দাপট: প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দিলেন না নাদাল। সোমবার। রয়টার্স
এ রকম পরিবেশে ফরাসি ওপেনে খেলাটা তাঁর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম রাউন্ডে নামার আগেই বলেছিলেন ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল। ঠান্ডা আবহাওয়া, আগের থেকে ভারি বলে খেলা হচ্ছে এ বার। এ সব খুশি করতে পারছিল না তাঁকে। আর একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম পেলেই যিনি ছুঁয়ে ফেলবেন রজার ফেডেরারের ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের নজিরও। সোমবার যদিও ক্লে-কোর্টের রাজাকে খুব একটা পরিশ্রম করতে হল না দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে। অবাছাই বেলারুশের ইগর জেরাসিমভকে নাদাল হারালেন ৬-৪, ৬-৪, ৬-২।
দ্বিতীয় রাউন্ডে নাদালের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকেনজ়ি ম্যাকডোনাল্ড। ম্যাচের পরে নাদাল বলেন, ‘‘ইতিবাচক ভাবেই শুরু করতে চেয়েছিলাম। এ বারের রোলঁ গ্যারোজ আলাদা। কঠিন পরিবেশে খেলতে হচ্ছে।’’ ভারি বল এবং ধীর গতির ক্লে কোর্টে তাঁর সব চেয়ে বড় অস্ত্র ‘টপস্পিন’ সে ভাবে কাজ করবে না জেনে নাদাল অন্য স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিলেন। আরও আগ্রাসী ভাবে খেলা। বিপক্ষকে থিতু হওয়ার কোনও সুযোগ না দেওয়া। যা মোক্ষম ভাবে কাজে লেগে যায় সোমবার এবং প্রায় ২০০ দর্শকের সামনে হাসতে হাসতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যান তিনি।
মেয়েদের সিঙ্গলসে প্রথম রাউন্ডে স্ট্রেট সেটে জিতলেও তার জন্য বেশ কিছুটা ঘাম ঝরাতে হল মার্কিন তারকা সেরিনা উইলিয়ামসকে। অবাছাই এবং বিশ্বের ১০২ নম্বর ক্রিস্টি অ্যানের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ বাছাই সেরিনা জেতেন ৭-৬ (৭-২), ৬-০। ৭২ মিনিট ধরে চলা প্রথম সেট দখল করার পরে আর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সমস্যা হয়নি মার্গারেট কোর্টের সর্বাধিক ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের রেকর্ড ছোঁয়ার সামনে থাকা সেরিনার। ‘‘সব ম্যাচ তো আর নিখুঁত খেলা যায় না। সব পয়েন্ট, সব শট জিতব এ রকম নাও হতে পারে। নিজেকে সেটাই বোঝাই। যাতে চাপটা কম থাকে,’’ ম্যাচের পরে বলেন সেরিনা।
পুরুষদের সিঙ্গলসে তৃতীয় বাছাই ডমিনিক থিমও দাপটে শুরু করলেন। যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রিয়ার তারকা ৬-৪, ৬-৩, ৬-৩ হারান মারিন চিলিচকে। প্রাক্তন গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়নকে হারানোর পরে থিম বলেন, ‘‘দু’সপ্তাহের মধ্যে দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে হচ্ছে। এটা মনে হয় এর আগে কখনও হয়নি।’’ পাশাপাশি এ দিন নজর কাড়ল ইটালির লোরেঞ্জো জুস্তিনোর ছ’ঘণ্টা পাঁচ মিনিটের লড়াই। যা ফরাসি ওপেনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ম্যাচ। তিিন হারালেন ফ্রান্সের কোহন্তা মৌতেকে।