Paris Olympics 2024

নাদাল থেকে বাইলস, মারে থেকে কিপচোগে, এ বারই শেষ অলিম্পিক্স কোন ক্রীড়াবিদদের?

আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক্স। এ বারের অলিম্পিক্সে যেমন নতুন তারকা উঠে আসতে চলেছেন, তেমনই কিছু ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক্সকে বিদায় জানাবেন। কয়েক জনের নাম তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৩:০২
Share:

(বাঁ দিক থেকে) রাফায়েল নাদাল, সিমোনে বাইলস, অ্যান্ডি মারে, এলিউড কিপচোগে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক্স। এই প্রতিযোগিতাকে বলা হয়ে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। প্রতি বারের মতো এ বারও যেমন পরিচিত খেলাগুলি থাকছে, তেমনই দু’টি নতুন খেলাও যুক্ত হয়েছে। এ বারের অলিম্পিক্সে যেমন নতুন তারকা উঠে আসবেন, তেমনই কিছু ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক্সকে বিদায় জানাবেন। এ রকমই কয়েক জনকে তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ: টেনিসবিশ্বের দুই তারকা খেলোয়াড়। জোকোভিচের কাছে যেমন সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম রয়েছে, তেমনই নাদালের দখলে সবচেয়ে বেশি ফরাসি ওপেন রয়েছে। এঁদের মধ্যে নাদাল দু’টি অলিম্পিক্স পদক পেয়েছেন। ২০০৮ সালে বেজিংয়ে সোনা এবং ২০১৬ সালে রিয়োয় ডাবলসে সোনা জিতেছেন। এ বার তিনি অলিম্পিক্সে নামতে মরিয়া ছিলেন। পদক জিতেই অলিম্পিক্সকে বিদায় জানাতে চান। জোকোভিচ এখনও অবসরের কথা বলেননি। কিন্তু এখনই তাঁর ৩৭ বছর বয়স। চার বছর পরে দেখতে পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি এখনও অলিম্পিক্স পদক জেতেননি।

সিমোনে বাইলস: বয়স তাঁর মোটেই বেশি নয়। কিন্তু তিনি যে খেলার সঙ্গে যুক্ত, তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘বুড়ি’। জিমন্যাস্টিক্সে আমেরিকার প্রবীণতম ক্রীড়াবিদ হিসাবে প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশ নিচ্ছেন তিনি। ২৭ বছর বয়সি বাইলস টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পর মানসিক কারণে দু’বছর বিরতি নিয়েছিলেন। ফিরে এসে আবার একই ফর্মে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। গোটা বিশ্ব জুড়ে পদক জিতে বেড়াচ্ছেন। রিয়ো অলিম্পিক্সে চারটি সোনা জিতেছিলেন। তবে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে একটিও সোনা জেতেননি। প্যারিসে আবার পদকের রং বদলে যেতে পারে তাঁর।

Advertisement

অ্যান্ডি মারে: তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম রয়েছে তাঁর। তবে টেনিস সার্কিটে কোনও দিনই রজার ফেডেরার, নাদাল, জোকোভিচকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। যদিও অলিম্পিক্সে সাফল্য ঈর্ষণীয়। মারে অলিম্পিক্সে দু’টি পদক জিতেছেন। ২০১২-য় লন্ডনে সিঙ্গলসে সোনা এবং মিক্সড ডাবলসে রুপো জিতেছেন। তবে ব্রিটেনের এই টেনিস তারকাকে পরের অলিম্পিক্সে আর খেলতে দেখা যাবে না। চোট-আঘাতই প্রধান কারণ।

এলিউড কিপচোগে: এখনও পর্যন্ত অবসরের ঘোষণা করেননি। কিন্তু কেনিয়ার দূরপাল্লার দৌড়বিদ এই ইঙ্গিতও দেননি যে এর পরের অলিম্পিক্সেও নামবেন। শেষ দু’টি অলিম্পিক্সে দু’টি করে সোনা জিতেছেন তিনি। ইথিয়োপিয়ার আবেবে বিকিলা এবং জার্মানির ওয়াল্ডেমার সিরপিনস্কির পর তৃতীয় দৌড়বিদ হিসাবে এই কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। প্যারিসে আর একটি সোনা পেলেই তিনি বিশ্বের সফলতম দূরপাল্লার দৌড়বিদ হয়ে যাবেন। সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক গড়বেন।

লেব্রন জেমস: অলিম্পিক্সে দু’বার সোনা জিতেছেন তিনি। ২০০৮ বেজিং এবং ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে। তার আগে ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। অনেক আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে প্যারিস অলিম্পিক্সই তাঁর শেষ। ৩৯ বছরের বাস্কেটবলার আমেরিকার প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে তিনটি আলাদা আলাদা দশকে অলিম্পিক্সে খেলবেন। ১৯৯২ সালের স্বপ্নের দলের কথা মনে করাচ্ছেন তাঁরা। লেব্রনের সঙ্গে কেভিন ডুরান্ড, জোয়েল এমবিড, বাম আদেবায়ো, অ্যান্টনি ডেভিসেরা রয়েছেন।

শেলি অ্যান ফ্রেজ়‌ার প্রাইস: জামাইকার এই স্প্রিন্টার অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ অলিম্পিক্স। এই নিয়ে পঞ্চম বার অলিম্পিক্সে নামছেন। মোট আটটি পদক জিতেছেন। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি সোনা। এ বার তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। প্যারিসে তাঁর লড়াই শাকারি রিচার্ডসনের সঙ্গে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement