গৌতম গম্ভীর। — ফাইল চিত্র।
কোচ হওয়ার পরে প্রথম বার নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন গৌতম গম্ভীর। ভারতীয় দলে যে আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে আগামী দিনে, সেই আভাস তিনি দিয়ে রেখেছেন প্রথম বৈঠকেই। মঙ্গলবার দুপুরে হওয়া বৈঠকে ছিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহও। গম্ভীর দিল্লিতে নিজের বাড়ি থেকে ভিডিয়ো কলে যোগ দিয়েছিলেন। এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর, অজিত আগরকর, জয় শাহের সঙ্গে প্রচুর ভাবনাচিন্তার বিনিময় হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েই মূলত কথাবার্তা হয়েছে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, দলের প্রত্যেকের কাছে দায়বদ্ধতা চাইছেন গম্ভীর। হার্দিকের জায়গায় যে টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদবকে অধিনায়ক করা হবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। হার্দিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে খেলবেন। কিন্তু গম্ভীরের ব্যক্তিগত পছন্দ সূর্যই। সেটা তিনি জয় শাহ এবং আগরকরকে বলেও দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, গম্ভীর এবং আগরকর এই দায়িত্ব বদলের ব্যাপারে হার্দিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হার্দিককে যে ভবিষ্যতে অধিনায়ক করা হবে না, এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। হার্দিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেললেও এক দিনের সিরিজ় থেকে বিশ্রাম নিয়েছে। সেই সিরিজ়ে রোহিতের ফেরার কথা। ফিরলে তিনিই অধিনায়ক হবেন।
কী ধরনের ক্রিকেটার দলে চান তিনি, তা নিয়ে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কথা বলেছেন গম্ভীর। তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রথমে সেই সব ক্রিকেটারকে বেছে নিতে হবে যাদের মধ্যে একটা ভয়ডরহীন মনোভাব আছে।’’ এর পরে আরও পরিষ্কার করে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তুলেছেন গম্ভীর। বলেছেন, ‘‘৫০ ওভারের ক্রিকেটে অবশ্য আমাদের সব ধরনের ক্রিকেটার লাগে। এমন ব্যাটসম্যানেরও প্রয়োজন হয়, যারা ইনিংসটাকে গড়তে পারবে।’’
গম্ভীর মনে করেন, এক দিনের ক্রিকেটে যে আইনের বদল হয়েছে, তা খেলায় বিশাল প্রভাব ফেলেছে। ভারতের বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘আমাদের সময়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে একটা নতুন বলে খেলা হত। কিন্তু এখন দুটো নতুন বলে হয়। দুটো বল ব্যবহার করা হয় দু’প্রান্ত থেকে। তা ছাড়া ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে পাঁচ জন ফিল্ডার থাকে। এর ফলে অনিয়মিত বোলার বা ব্যাটসম্যানদের কোনও জায়গা নেই দলে।’’
এক দিনের ক্রিকেটে দুটো নতুন বলে খেলার এই নিয়ম অনেক সমালোচনার মুখেও পড়েছে। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করেন, এর ফলে যেমন রিভার্স সুইং পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, সে রকম ফিঙ্গার স্পিনারদের ভূমিকাও কমে যাচ্ছে। গম্ভীর সে কথা স্বীকার করেছেন, তবে তার মধ্যে থেকেও লড়াই করার রসদ খুঁজছেন তিনি। ভারতের নতুন কোচের কথায়, ‘‘এখন আর রিভার্স সুইং দেখা যায় না। এখন আর ফিঙ্গার স্পিনারেরা সে রকম বল ঘোরাতে পারে না। কিন্তু যখনই এই নতুন নিয়ম নিয়ে আলোচনা হয়, তখনই আমার একটা কথা মনে হয়। আমাদের এমন সব ক্রিকেটার খুঁজে বার করতে হবে, যারা এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে।’’