মহড়া: উইম্বলডনের প্রস্তুতিতে একাগ্র নাদাল। বুধবার। ছবি রয়টার্স।
উইম্বলডনে এ বার রাফায়েল নাদাল খেলবেন কি না, তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার স্পেনীয় তারকা যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে জানিয়ে দিয়েছেন, তিন বছর পরে ফের তাঁকে সেন্টার কোর্টে দেখা যাবে।
নাদালের কাছে এ বারের উইম্বলডনের তাৎপর্যই আলাদা। বিশ্বের মাত্র পাঁচ জনই এখনও পর্যন্ত ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। পুরুষদের টেনিসে টানা দু’বার জিতেছেন মাত্র দু’জনই। ডন বাজ (১৯৩৮) ও রড লেভার (১৯৬২-’৬৯)। এ বছরের শুরুতে মেলবোর্নে পাঁচ সেটের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দানিল মেদভেদেভকে হারিয়ে অস্ট্রেলীয় ওপেন জিতেছিলেন নাদাল। চলতি মাসের শুরুতে কাসপার রুদকে হারিয়ে ফরাসি ওপেনেও চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। নাদালের টেনিসজীবনে প্রথমবার ক্যালেন্ডার স্ল্যাম জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি রয়েছে।
উইম্বলডনে নামার আগে স্পেনীয় তারকা নিজেও মরিয়া এই নজির গড়তে। নাদাল বলেছেন, ‘‘পুরুষদের টেনিসে রড লেভারের পরে কেউ এই কীর্তি গড়তে পারেনি। নোভাক জোকোভিচ গত মরসুমে খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ৩৬ বছর বয়সে এই কাজটা খুবই কঠিন।’’
যদিও স্পেনীয় তারকাকেই সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এগিয়ে রাখছেন দানিল মেদভেদেভ। ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রেক্ষিতে এ বারের উইম্বলডনে রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অল ইংল্যান্ড টেনিস সংস্থা। ফলে বিশ্বের এক নম্বর তারকা এ বার থাকছেন বাইরেই।
স্পেনের এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেদভেদেভ বলেছেন, “ঘাসের কোর্টে নাদাল স্বচ্ছন্দ নন, এমন একটা মতামত শুনতে পাই। কিন্তু এটার ভিত্তি কী, সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, নাদাল হলে সেই ঘরানার বিরল টেনিস তারকা যিনি খেলা চলাকালীন তৎপরতার সঙ্গে যে কোনও সমস্যা সমাধানের উপায় বার করে ফেলতে পারেন। অস্ট্রেলীয় ওপেনে সেটা আমি সামনে থেকে উপলব্ধি করেছি।” রুশ তারকা যোগ করেছেন, “আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, এই মঞ্চেও নাদালের খেতাবের দৌড়ে বাকিদের চেয়ে অনেকএগিয়ে থাকবেন।”
একই অভিমত জন ম্যাকেনরোর। উইম্বলডনে ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন তিনি। কিংবদন্তি মার্কিন টেনিস তারকা বলেছেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে রাফার পরিণতবোধ এতটাই উচ্চস্তরে পৌঁছে গিয়েছে যে, এই জায়গায় ওকে নিয়ে কোনও ধরনের অনুমান করা একটা হাস্যকর বিষয় বলে মনে হয়। ওতে নিজেদের নির্বুদ্ধিতাই প্রমাণিত হয়।” তিনি মনে করেন, ঘাসের কোর্টেও সাবলীল ভাবে খেলার কায়দা নাদাল রপ্ত করে নিয়েছেন এবং সেটা প্রতিযোগিতা শুরু হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। ২০০৮ ও ২০১০ সালে উইম্বলডন জিতেছিলেন নাদাল। এ বারও খেতাবের অন্যতম দাবিদার তিনি। তবে দ্বিতীয় শীর্ষ বাছাই হিসেবেই অল ইংল্যান্ডের ঘাসের কোর্টে নামবেন তিনি।