মগ্ন: নিজের শহরে নামার আগে নাদালের প্রস্তুতি।
রাফায়েল নাদাল মেনে নিচ্ছেন, কোর্টে ফিরতে পারলেও তিনি মোটেও পুরোপুরি ফিট নন। অস্ট্রেলীয় ওপেনে রেকর্ড ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন তিনি। তার পরেই ইন্ডিয়ান ওয়েলসে পাঁজরের চোটে আক্রান্ত হন। ফাইনালে হারেন টেলর ফ্রিৎ্জ়ের কাছে। সেই সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিয়েছিল বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে নিজের দুর্গ ফরাসি ওপেনে নামবেন বলেই সম্ভবত তাড়াহুড়ো করে টেনিসে ফিরেছেন তিনি।
২২ মে শুরু ফরাসি ওপেন। নাদাল মন্টে কার্লো ও বার্সেলোনায় ক্লে কোর্টে নামতে পারেননি। বুধবার মাদ্রিদ ওপেনে খেলতে নামছেন তিনি। তার আগে নিজের সুস্থতা নিয়ে বলছেন, ‘‘আমি চোট থেকে হয়তো সেরে উঠেছি। কিন্তু টেনিস খেলার জন্য কতটা ফিট সেই প্রশ্ন থাকছে। প্রস্তুতিও কতটা নিতে পারলাম, তা নিয়েও সংশয় দূর হচ্ছে না।’’ যোগ করছেন, ‘‘যাদের পাঁজর ভেঙেছে, তারাই বলতে পারবে কতটা মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। প্রথম কয়েক সপ্তাহ যন্ত্রণার জন্য ঠিক করে ঘুমোতেও পারছিলাম না।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘এটা এমন একটা চোট যে, সব কাজেই অসুবিধা হচ্ছিল। প্রায় কোনও কিছুই করতে পারছিলাম না।’’ নাদাল ধরেই নিচ্ছেন, কোর্টে ফিরেই সেই ছন্দ তিনি পাবেন না। মাদ্রিদ ওপেনে স্বভাবসিদ্ধ মেজাজে হয়তো তাঁকে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রিয় ফরাসি ওপেনে ভাল কিছু করার জন্য মাদ্রিদ ওপেনে নামাটা জরুরি ছিল। ‘‘নিখুঁতের ধারেকাছেও নেই আমি, স্বীকার করতেই হবে,’’ বলে ফেলছেন তিনি। যোগ করছেন, ‘‘প্রাক মরসুমের মতো ট্রেনিং করছি আমি। দিনে দু’টো করে সেশন করছি। এই প্রতিযোগিতাগুলো আমার জন্য খুব মানানসই। দেখতে হবে যদি কয়েকটা জয় তুলে নিতে পারি। আসল লক্ষ্য ভবিষ্যতের জন্য লড়াইয়ে থাকা।’’
এ দিকে, মাদ্রিদ ওপেনে মেয়েদের বিভাগে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছেন নেয়োমি ওসাকা এবং গারবিনে মুগুরুসা। কোকো গফকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন সিমোনা হালেপ।