মাইকেল হোল্ডিং।—ফাইল চিত্র।
কৃষ্ণাঙ্গদের বারবার কেন বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়, তার একাধিক কারণ তুলে ধরলেন মাইকেল হোল্ডিং। একটি ক্রিকেট সম্প্রচারকারী চ্যানেলে তাঁর সাক্ষাৎকার মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হোল্ডিংয়ের ধারণা, ছোটবেলা থেকেই একজনের মনে শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ ভেদাভেদ তৈরি করে দেওয়া হয়। জিশুকে শ্বেতাঙ্গ দেখানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কিংবদন্তি এই ফাস্ট বোলার। পাশাপাশি জুডাসকে কেন ধর্মীয় কাহিনিতে কৃষ্ণাঙ্গ দেখানো হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে হোল্ডিংয়ের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ফাস্ট বোলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনার বক্তব্য কী? হোল্ডিংয়ের উত্তর, ‘‘বর্ণবৈষম্য শুরু হয় হাজার বছর আগে। আর বরাবরই শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, কারা ভাল, কারা খারাপ।’’
নিজের স্কুল জীবনের গল্পও তুলে ধরলেন হোল্ডিং। বলছিলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে কখনও কৃষ্ণাঙ্গদের সাফল্যের গল্প শোনানো হত না। সবাই জানেন বাল্ব আবিষ্কার করেছেন টমাস আলভা এডিসন। কিন্তু তিনি যে বাল্ব আবিষ্কার করেছিলেন, তা বেশি ক্ষণ জ্বলত না। কেউ বলতে পারবেন, কে বাল্বের কার্বন ফিলামেন্ট আবিষ্কার করেন? যার সাহায্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলো পাওয়া যায়? অনেকেই জানেন না। তিনি লিউইস হওয়ার্ড ল্যাটিমার। একজন কৃষ্ণাঙ্গ। কোনও স্কুলেই এটা পড়ানো হয়নি। তা হলে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সম্মান জন্মাবে কী করে?’’