দিল্লিতে যুব বিশ্বকাপের সময় গ্যালারি। —ফাইল চিত্র।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার। সেই আয়োজন নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখন সবটাই তৈরি। কাজও চলছে জোড় কদমে। তার মধ্যেই ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির শীর্ষ কর্তা হাসান আল থাওয়াডি জানিয়ে দিলেন, তাঁরা ভারতের ফুটবল বাজারের ভবিষ্যত্ নিয়ে কতটা আগ্রহী। তিনি এক কথায় ভারতকে, ‘ফুটবলের পরবর্তী বড় বাজার’ আখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের বিশ্বব্যাপী বাজার রয়েছে। কাতারের একটা বড় অংশে ভারতীয়রা থাকে। কাতারের ভারতের সঙ্গে ভীষণ নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।’’
আরও পড়ুন
কাতার প্রথম গালফ দেশ যারা ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। এশিয়া প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ২০০২ সালে। সে বার জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগ ছিল। মূল বিশ্বকাপের সঙ্গে সঙ্গে যুব বিশ্বকাপ যে ভাবে সাড়া ফেলেছে বিশ্ব ফুটবলে সেটাই আকৃষ্ট করছে অন্যান্য ফুটবল খেলিয়ে দেশগুলিকে। বিশেষ করে এ ভাবে মানুষের সমর্থন কোনও যুব বিশ্বকাপ অতীতে পায়নি। সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ভারত। সে আয়োজন হোক বা দর্শক সংখ্যা। যে ভাবে একটা সময়ের পর ভারতই বিশ্বের সব থেকে বড় ক্রিকেট মার্কেট হয়ে উঠেছে, ঠিক সে ভাবেই ফুটবলকেও উঠে আসতে দেখছে সবাই।
বিশ্বকাপে ভারতীয় যুব দল।
থাওয়াডি বলেন, ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভারত-কাতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। রাতারাতি তৈরি হয়নি।এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে ভারত ফুটবলের পরবর্তী বড় বাজার হয়ে উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে। যে কারণে অনেক আন্তর্জাতিক ফুটবলার খেলতে যাচ্ছে ভারতে।’’ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে। তিনি বলেন, ‘‘প্রফুল্ল পটেল দারুণ কিছু কাজ করেছেন। আমরা ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সাফল্য দেখেছি। আর এটা সত্যি, দর্শকের বিচারে ওরা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।’’
আরও পড়ুন
ও তো শেষ, শুনে ফেরার শপথ নেন বক্সার মেরি
আর এই মার্কেটটাকেই ধরতে চায় কাতার। কী ভাবে সেটা করবে তার ভাবনা-চিন্তাও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। বলেন, ‘‘অনেকগুলো রাস্তা রয়েছে। ক্রস প্রোমোশন নিয়ে আমরা প্রফুল্ল পটেলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ক্লাব পর্যায়েও বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ায় বিশ্বকাপ শেষ হলেই আমাদের হাতে চলে আসবে বিশ্বকাপ প্রোমোশনের দায়িত্ব। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে আমরা তখন ভারতে বেশ কিছু কাজ করব।’’ এই মুহূর্তে যদিও বেশ চাপে রয়েছে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। আদালতের নির্দেশে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে প্রফুল্ল পটেলকেও।