দুরন্ত: টানা দুটি প্রতিযোগিতায় শেষ চারে উঠলেন সিন্ধু। —ফাইল চিত্র।
পুরনো ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত পিভি সিন্ধুর। ডেনমার্ক ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি বিশ্বের ১৯ নম্বর তাইল্যান্ডের সুপানিদা কাটেথংকে স্ট্রেট গেমে হারালেন। বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সুপার ৭৫০ পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় তিনি ৪৭ মিনিটে কোয়ার্টার ফাইনালে জেতেন ২১-১৯, ২১-১২ ফলে।
দু’বারের অলিম্পিক্সে পদক জয়ী সিন্ধু চলতি মরসুমে একটা সময় টানা জয় পাননি। কিন্তু সেটা কাটিয়ে উঠে দু’সপ্তাহের মধ্যে দুটি প্রতিযোগিতায় শেষ চারে উঠলেন। গত সপ্তাহে ফিনল্যান্ডে আর্কটিক ওপেন সুপার ৫০০ প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালে উঠেছিলেন তিনি।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সিন্ধুকে খেলতে হবে চেনা প্রতিপক্ষ তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনের ক্যারোলিনা মারিনের বিরুদ্ধে। যিনি এ দিন অপর কোয়ার্টার ফাইনালে হারান তাই জু ইংকে। এই প্রতিযোগিতায় শুরু থেকেই লড়াই করে সিন্ধুকে এগোতে হয়েছে। বিশ্বের ২৮ নম্বর ক্রিস্টি গিলমোর এবং বিশ্বের ৭ নম্বর জর্জিয়া মারিস্কা তুংজুং-এর বিরুদ্ধে জিততে তাঁকে তিনটি করে গেম খেলতে হয়েছে। শুক্রবারের ম্যাচে নামার আগে অবশ্য সিন্ধু তাইল্যান্ডের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়-হারের পরিসংখ্যানে ৩-২ এগিয়ে ছিলেন। তবে এর মধ্যে ঘরের মাঠে ২০২২ এবং ২০২৩ ইন্ডিয়া ওপেনে হার নিশ্চিত ভাবে সিন্ধুকে ধাক্কা দিয়েছিল। সেই স্মৃতি মুছে ফেলতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে শুক্রবারের জয়। কারণ প্রতিপক্ষ তাঁকে রীতিমতো পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছিল। সেই বাধা কাটিয়ে সব বিভাগেই সুপানিদাকে পিছনে ফেলে দেন সিন্ধু।
তাইল্যান্ডের তারকা সিন্ধুকে কোর্টের পিছনের দিকে ঠেলে দিয়ে আবার নেটে টেনে আনার কৌশল নিয়েছিলেন। কিন্তু সিন্ধু গতিতে র্যালি চালিয়ে যান এবং কয়েকটি ক্রস কোর্ট স্ম্যাশে পয়েন্ট তুলে নেন। কয়েক বার সিন্ধু ব্যাকলাইনে ভুল করে পয়েন্ট খোয়ান ঠিকই কিন্তু ততক্ষণে তিনি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় গেমেও সিন্ধু শুরুতেই ৫-১ এগিয়ে গিয়েছিলেন। এক সময় সুপানিদা ব্যবধান ৮-৯ করে ফেললেও সিন্ধু তা দ্রুত সামলে নেন। শেষ পর্যন্ত ক্রস কোর্ট স্ম্যাশে গেম ও ম্যাচ জিতে নেন তিনি।