প্রতিজ্ঞ: অলিম্পিক্সকে সামনে রেখেই তৈরি হচ্ছেন সিন্ধু। ফাইল চিত্র
পাখির চোখ টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পদক। ইংল্যান্ডের মিল্টন কেইনসে চলছে পি ভি সিন্ধুর মহড়া। ভারতীয় ব্যামিন্টন তারকা মনে করেন, অলিম্পিক্সের জন্য কঠোর অনুশীলনের পাশাপাশি তার পরিকল্পনা ছকে ফেলাটাও সমান জরুরি। সিন্ধুর প্রত্যাশা, গেমসের আগেই তিনি নিজেকে সেরা জায়গায় নিয়ে যাবেন।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিন্ধু বললেন, ‘‘এখানে দারুণ অনুশীলন করছি। সামনের টুর্নামেন্টগুলোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। প্রস্তুতি নেওয়ার যথেষ্ট সময়ও পেয়েছি। আশা করছি তাইল্যান্ডের টুর্নামেন্টে নিজের সেরাটা দিতে পারব। আর অলিম্পিক্সের জন্যেও ঠিকঠাক পরিকল্পনা মতো এগোচ্ছি। ওখানে পদক জিততে তো প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দিতে চায়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘টোকিয়োয় পদক জিততে চাই। তার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করছি। জানি কাজটা সহজ নয়। কিন্তু তার আগে প্রস্তুতি ভাল করতে টুর্নামেন্ট পাচ্ছি। যা শুরু হয়ে যাচ্ছে জানুয়ারিতে। ধাপে ধাপে তৈরি হয়ে যাব। একটা করে টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবব। অলিম্পিক্সে ভাল কিছু করা খুব কঠিন। কিন্তু ওখানে নিজেকে উজাড় করে দেব।’’
অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী সিন্ধু অতিমারির জন্য লকডাউনে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, ‘‘শুরুতে তো সবই বন্ধ ছিল। আমরা অনুশীলনও করতে পারছিলাম না। কিন্তু পরে সবই খুলে যায়। সবই স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে এখনও আমাদের সবকিছু সাবধানে করতে হচ্ছে। সবরকম নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে।’’ এখানেই থামেননি সিন্ধু। আরও বলেছেন, ‘‘আমার নিজের লকডাউনের সময়টা কিন্তু ভালই কেটেছে। আসলে এই অভিজ্ঞতাটাই সম্পূর্ণ নতুন। জীবনে কখনও এতদিনের ছুটি পাইনি। বাড়িতেই ছিলাম। কোথাও যাইনি। তবু নিজেকে ফিট রাখতে পেরেছি। আর ঠিক যখন দরকার ছিল তখন থেকেই অনুশীলন শুরু করেছি।’’
কোর্টে ফেরা নিয়ে সিন্ধুর মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও, দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলতে তাঁর ভাল লাগবে না। ‘‘অতিমারি খেলার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। আমরা টুর্নামেন্ট খেলতে পারিনি। কোথাও যেতে পারিনি। কিছু ক্ষেত্রে অনুশীলনও করতে পারিনি,’’ বলেছেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাডমিন্টন তারকা। তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘এখন টুর্নামেন্টে খেলব কিন্তু কোনও দর্শক থাকবে না! আমার মনে হয় সাধারণ মানুষও আবার আমাদের কোর্টে দেখতে উন্মুখ। কিন্তু এখন আর গ্যালারিতে বসে আমাদের ওঁরা দেখতে পারবেন না। এটা কিন্তু খুব খারাপ একটা ব্যাপার। আমরাও চাই, সবাই খেলা দেখতে আসুন। গ্যালারি থেকে আমাদের সমর্থন করুন। এই সমর্থনের ব্যাপারটা আমাদের আরও উৎসাহিত করে।’’