লন্ডন অলিম্পিকের সময় তিনি সাইনা নেহওয়ালকে পোডিয়ামে উঠতে দেখেছিলেন। দেখেছিলেন সাইনার মাথার উপর তেরঙ্গা উড়তে। সেই রোমাঞ্চকর মুহূর্তটা ভুলতে পারেননি পিভি সিন্ধু। সেই সময়টাকে আরও একবার রিওতে জাগিয়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর সিন্ধু। বললেন ‘‘অলিম্পিকে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করাটাই বিরাট ব্যাপার। উদ্বোধনীর দিন মার্চপাস্টে ভারতীয় পতাকার সঙ্গে হাঁটাই একটা রোমাঞ্চকর মুহূর্ত।ওই বিশেষ সময়টিকে উপভোগ করার জন্য উত্তেজনায় আমি এখন থেকেই ফুটছি।’’ দু’বার তিনি ওয়ার্ল্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের পোডিয়ামে উঠেছেন। দু’বার তিনি হারিয়েছেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন লি জুরুই ও রুপোজয়ী ওয়াং ইহানকে। লন্ডন অলিম্পিকের সময় পিভি সিন্ধুর বয়েস ছিল মাত্র ১৭। এখন তিনি ২১। বললেন ‘‘রিও আমার প্রথম অলিম্পিক। রিওতে আমি ভাল ফল করার জন্য আশাবাদি। সবাই আমাকে বলছে অলিম্পিক সব সময়ই আলাদা। তবে অলিম্পিক বলে আমি নিজের উপর আলাদা কোনও চাপ নিতে চাই না। অন্যান্য টুনার্মেন্টে আমি যেমন খেলি সেই ভাবেই অলিম্পিকেও খেলতে চাই। কারণ অলিম্পিকের কথা ভেবে নিজের উপর আলাদা চাপ নিলে শুধু শুধু আমার নিজের খেলাটাই খারাপ হয়ে যেতে পারে।’’
সিন্ধু যাঁদের বিরুদ্ধে খেলেন কোর্টে নামার আগে তাঁদের জন্য আলাদা আলাদা স্ট্র্যাটেজি নেন। ২০১২ চায়না মাস্টার্সে প্রথমবার তিনি যখন লি জুরুইকে হারান সেবার লি জুরুই ছিলেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। আর এই জয়ের পর থেকেই গোটা বিশ্ব পিভি সিন্ধুকে আলাদা চোখে দেখতে শুরু করে। তারপর ২০১৩ ও ২০১৪ ওয়ার্ল্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতে তিনি অলিম্পিকে পদক জেতার পথেও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। গত বছর অক্টোবরে ডেনমার্ক সুপার সিরিজের ফাইনালে ওঠেন পিভি সিন্ধু। ফাইনালে ওঠার পথে তিনি পরপর তিনজন বিশ্বের সেরা জু উইং, ওয়াং ইহান ও ক্যারোলিনা মারিনকে হারান। এর পরেই গোড়ালির চোটে প্রায় ছয় মাসের জন্য কোর্টের বাইরে চলে যান সিন্ধূ। আপাতত অবশ্য তিনি সম্পূর্ণ ফিট, রয়েছেন নিজের সেরা ফর্মে।
সিন্ধুর বর্তমান ফর্ম দেখে খুব খুশি তার কোচ গোপীচাঁদ। বলেন ‘‘রিওতে সাইনার পাশাপাশি পদক জেতার জন্য ‘ডার্ক হর্স’ পি ভি সিন্ধু। রিওতে ও নিজের সেরাটা দিতে পারলেই পদক জিততেই পারে।’’ তবে সিন্ধূ ভাল ভাবেই জানেন মহিলাদের সিঙ্গলসের লড়াই সব সময়ই কঠিন। তবে চিনা মেয়েরা আর আগের মত ‘আনবিটেবল’ নয়। কারণ এখন সাইনা নেহওয়াল, ক্যারোলিনা মারিন, রতচানক ইন্তানন ও পি ভি সিন্ধুরা প্রায়ই ওদের হারিয়ে দিচ্ছে। তার কারণ হিসাবে সিন্ধু বললেন ‘‘প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের খেলার মান আগের থেকে এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফলে সকলেই এখন একে অন্যকে হারিয়ে দিচ্ছে। রিওতে তাই লড়াইটা বেশ জমবে।’’
আরও খবর
সাসেক্সের হয়ে খেলতে বুধবারই উড়ে যাচ্ছেন মুস্তাফিজুর