হতাশ: ক্রীড়া দফতরের ভূমিকায় খুশি নন হরভজন। ফাইল চিত্র
পঞ্জাবের ক্রীড়া দফতরের প্রশাসনিক ঢিলেমিতে দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মান রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার পাওয়া হয়নি হরভজন সিংহের। ভারতের তারকা ক্রিকেটার এই অভিযোগ আনার পরে তদন্তের নির্দেশ দিল পঞ্জাব সরকার। হরভজনের খেলরত্নের মনোনয়ন ফিরিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল মনোনয়নের কাগজ অনেক দেরিতে পৌঁছেছে।
এর পরে হরভজন পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী রানা গুরমিত সিংহ সোধিকে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানান। ক্রীড়ামন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দেন তখন। ‘‘এ ব্যাপারে আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ডিরেক্টর (ক্রীড়া বিভাগ) এই তদন্ত করবেন।’’ বুধবার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী।
নিজের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে হরভজন দাবি করেছেন, খেলরত্নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তিনি ঠিক সময়েই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন পঞ্জাবের ক্রীড়া দফতরে। হরভজন বলেছেন, ‘‘মিডিয়া মারফত জানতে পারলাম আমার রাজীব গাঁধী খেলরত্ন পুরস্কারের মনোনয়ন সংক্রান্ত নথিপত্র কেন্দ্র বাতিল করে দিয়েছে। কারণ পঞ্জাব সরকারের ক্রীড়া দফতরের পাঠানো এই নথি অনেক দেরি করে পৌঁছয়। আরও জানতে পেরেছি, এই দেরি হওয়ার কারণে আমার মনোনয়ন গ্রাহ্য হবে না। আমি পুরস্কারটা পাব না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘যত দূর আমার মনে পড়ছে, খেলরত্ন সংক্রান্ত নথিপত্র আমি ২০ মার্চ জমা দিয়েছিলাম। যা ১০-১৫ দিনের মধ্যে দিল্লিতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। যদি এটা ঠিক সময়ে পৌঁছে যেত, হয়তো আমি পুরস্কারটা পেতাম। যে কোনও খেলোয়াড়ের কাছেই এ রকম পুরস্কার উৎসাহ এনে দেয়।’’ টেস্টে ক্রিকেটে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হরভজন সঙ্গে পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রীকে অনুরোধ করেন আগামী বছর আবার তাঁর নথিপত্র পাঠানোর।