সদ্য নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। বিরাট কোহালির দল হেরেছে ০-৩ ফলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে তাই জয়ে ফিরতে মরিয়া টিম ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।২০১৫ সালে শেষ বার ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে ২-৩ হেরেছিল ভারত। সব কিছু মাথায় রেখে দলেও হয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। দেখে নেওয়া যাক, ভারতের প্রথম এগারো কেমন হতে পারে।
শিখর ধওয়ন: চোট সারিয়ে ফিরছেন দলে। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ বার ওয়ানডে-তে নেমেছিলেন বাঁ হাতি ওপেনার। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজে ভারতের ওপেনিংয়ে অভিজ্ঞতার অভাব দেখা গিয়েছে বার বার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ধওয়নের মতো সিনিয়রের উপস্থিতি তাই ভরসা জোগাবে।
পৃথ্বী শ: কিউয়িদের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচেই ওপেন করেছিলেন মুম্বইয়ের ডানহাতি। কিন্তু বড় স্কোর করতে পারেননি তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এ বার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে পৃথ্বীকে।
বিরাট কোহালি: দুঃসময় চলছে। রান আসছে না। নিউজিল্যান্ডে হতশ্রী পারফরম্যান্স সেটাই দেখাচ্ছে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাত্র ৭৫ রান করেছিলেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে রানে ফেরাই যে লক্ষ্য থাকবে ভারত অধিনায়কের, তা বলাই বাহুল্য।
শ্রেয়াস আইয়ার: চার নম্বরে দলের ভরসা হয়ে উঠেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। একসময় চার নম্বরে কে নামবেন, তা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট উত্তপ্ত থাকত। কিন্তু, শ্রেয়াস দুশ্চিন্তা কমিয়েছেন। বড় শট খেলতে দক্ষ। আবার ধ্বসের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও পারেন। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধেও শ্রেয়াসের কাছ থেকে দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং চাইবে দল।
লোকেশ রাহুল: স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন লোকেশ রাহুল। কিপিং করছেন দক্ষতার সঙ্গে। দিচ্ছেন ভরসা। আবার দলের প্রয়োজনে ব্যাট করতে নেমে নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও রাহুলের ব্যাট কথা বলেছিল। রিচার্ড হ্যাডলির দেশেও রাহুল দারুণ পারফরম্যান্স করেন। ধারাবাহিকতা চাওয়া হচ্ছে তাঁর কাছে।
মণীশ পাণ্ডে: মিডল অর্ডারের শক্তি বাড়ানোর জন্য মণীশ পাণ্ডেকে দলে নেওয়া হয়েছে। ছয় নম্বরে তিনিই সম্ভবত নামবেন। যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন হালফিল, তার সদ্ব্যবহার করেছেন। দলের প্রয়োজনে মণীশ বড় শটও নিতে পারেন। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চাইছে দল।
হার্দিক পাণ্ড্য: চোটের জন্য ভুগেছেন দীর্ঘদিন। চোট সারিয়ে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন পাণ্ড্য। তবে তিনি যে ফর্মে আছেন, তা কয়েক দিন আগের ৫৫ বলে ১৫৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসেই প্রতিফলিত। শুধু তো ব্যাটিং নয়, বল হাতে পঞ্চম বোলারের ভূমিকাতেও তাঁকে দেখতে চাইছে দল।
রবীন্দ্র জাদেজা: কোহালির দলের সত্যিকারের থ্রি-ডি ক্রিকেটার হলেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাঁ-হাতি স্পিনে রান আটকে রাখতে দক্ষ তিনি। প্রয়োজনের সময়ে তাঁর ব্যাটও কথা বলে। আর ফিল্ডার জাদেজা তো অসাধারণই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও তাঁকে মেজাজে দেখতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভুবনেশ্বর কুমার: হার্দিকের মতো চোট সারিয়ে ফিরেছেন ভুবিও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে শেষ বার ওয়ানডে-তে খেলেছিলেন ভুবি। তার পরে চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয়েছিল। দীর্ঘদিন ছিলেন মাঠের বাইরে। এ বার পুরোদস্তুর ফিট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে ফিরছেন ভুবি।
যুজবেন্দ্র চহাল: যখনই সুযোগ পেয়েছেন, লেগস্পিনার তা কাজে লাগিয়েছেন। কুলদীপ যাদবের সঙ্গে এগারোয় আসার লড়াই তাঁর। তবে নিউজিল্যান্ডে চহাল বেশি কার্যকরী হয়েছেন। ফলে, তাঁকেই সম্ভবত খেলানো হবে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে।
যশপ্রীত বুমরা: প্রত্যাবর্তনের পর থেকে বুমরাকে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। এটাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে সমর্থকদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেরা ফর্মে ফিরতে আরও কয়েকটি ম্যাচ দরকার তাঁর। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে বুমরাকে তাঁকে পুরনো মেজাজে দেখতে চাইছে দল।