নয়াদিল্লির হারের বদলা রাজকোটে সুদে-আসলে উসুল করেছেন রোহিত শর্মারা। এ বার সিরিজের শেষ ম্যাচ নাগপুরে। সিরিজ জিততে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কোন ১১ জনকে নামাতে পারে ভারত? দলে কি এক পরিবর্তন নিশ্চিত? দেখে নেওয়া যাক ভারতের সম্ভাব্য একাদশ।
রোহিত শর্মা: প্রথম ম্যাচে বড় রান না করলেও রাজকোটে দেখা গিয়েছে সেই চেনা রোহিতকে। ৪৩ বলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস। আজও তাঁর ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে ভারত।
শিখর ধওয়ন: নাগপুরে রোহিতের সঙ্গে দেখা যেতে পারে ধওয়নকে। ধওয়নের স্ট্রাইক রেট তাঁকে চিন্তায় রাখবে। লোকেশ রাহুল, ময়াঙ্ক আগরওয়ালদের পিছনে ফেলতে ভাল কিছু করতে হবে বাঁহাতি ওপেনারকে।
লোকেশ রাহুল: নিজের প্রতিভার সঙ্গে সুবিচার করতে পারছেন না রাহুল। বার বার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই জ্বলে ওঠার জন্য মুখিয়ে থাকবেন রাহুল। বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাকা করতে বড় রান করতেই হবে তাঁকে।
শ্রেয়াস আইয়ার: চার নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে শ্রেয়াস বেশ ভাল মানিয়ে নিয়েছেন। বড় রান না করলেও এই মুম্বইকর তাঁর প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন। নাগপুরে তাঁর ব্যাট থেকে বড় রানের ইনিংস আশা করছেন অনেকেই।
ঋষভ পন্থ: নাগপুরের নামার আগে বেশ চাপে ঋষভ। রাজকোটের তাঁর উইকেট কিপিং নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। ব্যাটেও তেমন একটা বড় রান নেই তাঁর। নাগপুরে সে সব খামতি মিটিয়ে ফেলতে চাইবেন ঋষভ। আশার কথা, স্বয়ং রোহিত শর্মার আস্থা রয়েছে তাঁর উপর। বিশ্বকাপে ভাল কিছু করতে ফর্মে থাকা ঋষভকে দরকার ভারতের।
শিবম দুবে: অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়তে পারনেনি শিবম। নয়াদিল্লিতে ৪ বলে করেন মাত্র ১। রাজকোটে ব্যাটের সুযোগ পাননি। বল করেছিলেন মাত্র ২ ওভার। নাগপুরে তাঁর কাছ থেকে বড় কিছু দেখা যেতেই পারে।
ক্রুণাল পাণ্ড্য: নয়াদিল্লিতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ১৫। রাজকোটে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও ২ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়েছিলেন। তবে অলরাউন্ডার হিসাবে নাগপুরে দলে দেখা যেতে পারে ক্রুণালকে।
ওয়াশিংটন সুন্দর: মূলত বোলার হলেও নয়াদিল্লিতে ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার মধ্যে ছিল দুটো বিশাল ছক্কা। বল হাতেও ৪ ওভারে দেন মোটে ২৫। রাজকোটে ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দেন। এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপের দলে টিকিট পাকা করতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
দীপক চাহার: ২৭ বছর বয়সি পেসার উইকেটের দু’দিকেই সুইং করাতে পারেন। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতেও বেশ বড়সড় ছয় হাঁকানোর ক্ষমতা রাখেন। রাজকোটে ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচ করেছিলেন। নাগপুরে তাঁর দলে থাকাটা প্রায় নিশ্চিত।
শার্দূল ঠাকুর: নয়াদিল্লিতে খেলেননি, রাজকোটেও দেখা যায়নি তাঁকে। খলিল আহমেদের থেকে তাঁর লাইন-লেংথে নিয়ন্ত্রণ বেশি বলে মনে করছে অনেকে। ফলে নাগপুরের দেখা যেতে পারে এই ডান হাতি পেসারকে।
যুজবেন্দ্র চহাল: নয়াদিল্লিতে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। রাজকোটেও মোক্ষম সময়ে একই ওভারে মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার রাস্তা বন্ধ করে দেন। নাগপুরের ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার বড় ভরসা চহাল।