প্রতীকী ছবি।
অনুশীলন করতে যাওয়া ছাড়া হোটেলের বাইরে পা রাখা নিষেধ। গোয়ায় এটিকে-মোহনবাগানের টিম হোটেলের পাশেই মনোরম সমুদ্র সৈকত। জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে সেখানে যাওয়ার উপায় নেই রয় কৃষ্ণদের। এসসি ইস্টবেঙ্গলের হোটেল পাহাড়ের উপরে। কিন্তু সেখান থেকে সমুদ্র দেখা যায় না।
এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দলের মধ্যে ফুরফুরে মেজাজ ধরে রাখতে দুই প্রধানেরই হোটেলের একাংশে গড়ে তোলা হয়েছেন ‘প্লে জ়োন’ বা খেলাঘর। টেবল টেনিস, বিলিয়ার্ডস, ক্যারম, দাবা থেকে ডার্ট বোর্ড— সবই রয়েছে খেলাঘরে। একঘেয়েমি কাটাতে ফুটবলার ও দলের অন্যান্য সদস্যেরাও সেখানে সময় কাটাচ্ছেন। কয়েক দিন আগে হোটেল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কেকও বানিয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা।
লাল-হলুদ শিবিরের কোচ রবি ফাওলার ও সবুজ-মেরুনের চাণক্য আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস, দু’জনেই বিলিয়ার্ডস খেলতে খুব ভালবাসেন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের যুব দল ও ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের প্রাক্তন মিডফিল্ডার এসসি ইস্টবেঙ্গলের পিলকিংটন বাংলার দেবজিৎ মজুমদার, মহম্মদ রফিকদের সঙ্গে সময় পেলেই টেবল টেনিস বোর্ডে ঝড় তুলছেন। এটিকে-মোহনবাগানের অন্যতম সেরা অস্ত্র রয় কৃষ্ণেরও প্রিয় টেবল টেনিস। তাঁর সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন প্রবীর দাস, অরিন্দম ভট্টাচার্যরা। কেউ কেউ আবার মগ্ন ডার্ট, ক্যারম, দাবা ও তাস খেলায়। দুই প্রধানেরই সদস্যদের কথায়, ‘‘হোটেলের বাইরে যাওয়া বারণ। শুধু টিভি দেখে ও ভিডিয়ো গেম খেলে সময় কাটানো কষ্টকর। হতাশা আসতে বাধ্য। তাই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য নানা রকম খেলাধুলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে সকলেরই মন ভাল থাকে।’’
খেলাঘরে সময় কাটানোর ফাঁকেই লাল-হলুদ শিবিরে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ব্যস্ততা তুঙ্গে। আজ, মঙ্গলবার বিকেলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স এফসি। গত মরসুমে মোহনবাগানকে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ কিবু ভিকুনা এ বার কেরলের দায়িত্বে। লাল-হলুদ শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রস্তুতি ম্যাচে দলের সঙ্গে অনুশীলন করা ২৩ জন ফুটবলারকেই খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রবি ফাওলার। কী ছকে দলকে খেলাবেন লিভারপুল কিংবদন্তি? জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে কখনও রক্ষণে চার জনকে রেখে ম্যাচ খেলিয়েছেন। কখনও আবার তিন ডিফেন্ডারকে রেখে পুরোপুরি আক্রমণাত্মক রণকৌশলে দলকে খেলাচ্ছেন। এই মুহূর্তে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন তিনি। ফাওলারের দর্শন, প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা অনুযায়ী ছক তৈরি করা।