মুগ্ধ: ম্যাচের পরে অধিনায়কের অভিনন্দন ক্রুণালকে। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই
ব্যাটে ঝড় তোলেন ক্রিস গেল। কিন্তু তাঁকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দলকে ছ’উইকেটে জেতালেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক ও ক্রুণাল পাণ্ড্য এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজে। আর শুক্রবারের এই জয়ে রোহিত শর্মারা লিগ তালিকায় আট থেকে উঠে এলেন পাঁচে।
মুম্বইয়ের এখন সব ম্যাচেই মরণ-বাঁচন লড়াই। শুক্রবার তাঁদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ক্যারিবিয়ান দৈত্য ক্রিস গেল। ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে ৪০ বলে ৫০ রান করেন তিনি। তাঁর দেখানো রাস্তায় হেঁটে শেষ ওভারে ২২ রান তুলে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান মার্কাস স্টয়নিস দলকে ১৭৪ রানে পৌঁছেও দেন। কিন্তু প্রাক্তন নাইট সূর্য ও পাণ্ড্য ভাইয়েদের (হার্দিক ও ক্রুণাল) পাল্টা ব্যাটিং ঝড়ে ঢাকা পড়ে যায় গেল-স্টয়নিসদের এই দাপট। এই জয়ের ফলে ন’ম্যাচে ছ’পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় শেষ তিন দলের চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে রোহিতরা।
এই একটা জয়েই যে ভাবে লাফ দিয়ে উঠে পড়লেন, তাতে রোহিতের আশাবাদী হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। ম্যাচের পরে বললেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে এখনও লড়াইয়ে আছি আমরা। দলের প্রত্যেককেই বলেছিলাম এগিয়ে এসে দলকে জেতাও। সেটাই করে দেখাল সবাই। এখন প্রতি ম্যাচে আমাদের এ ভাবেই দল হিসেবে বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’’ প্রসঙ্গত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পরের দুই ম্যাচই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে।
তাদের দ্বিতীয় ঘরের মাঠ ইনদওরে শুক্রবারই প্রথম নামে আর অশ্বিনের দল। দলের মালকিন প্রীতি জিনটাও এসেছিলেন গেল, রাহুলদের সমর্থন করতে। আর নেমেই রানমেশিন চালু করে দেন গেল। শুক্রবার অবশ্য সেই চেনা বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন না তিনি। বরং হিসাব কষে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান। ইনদওরের মাঠ খুব একটা বড় নয়। এখানকার উইকেটও খুব একটা গতিময় নয়। বোলার, ব্যাটসম্যান কারও পক্ষেই খুব একটা সুবিধাজনক নয় এই উইকেট। এমন উইকেটে দাঁড়িয়েই গেল ১২৫-এর স্ট্রাইক রেট নিয়ে আইপিএলে তাঁর ২৪তম হাফ সেঞ্চুরিটি করে ফেলেন আধ ডজন চার ও এক জোড়া ছয় হাঁকিয়ে।
কিন্তু ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে ম্যাচের সেরা মুম্বইয়ের ওপেনার সূর্যকুমার যাদব গেলকে মোক্ষম জবাব দেন ৪২ বলে ৫৭ রান তুলে। তিনটি ছয় ও ছ’টি চার মারেন তিনি। কিন্তু শেষে হার্দিক (১৩ বলে ২৩) ও ক্রুণালের (১২ বলে ৩১) তোলা ঝড়েই ম্যাচ জেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মাও দুই ভাইকে সঙ্গ দিয়ে ১৫ বলে ২৪ রান করেন। এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা। শেষ দুই ওভারে ৩৭ রান তোলে তারা। এই দুই ওভারের প্রথমটিতে স্টয়নিস তিনটি চার ও একটি ছয় দেন ও পরেরটিতে অ্যান্ড্রু টাই দু’টি চার ও একটি ছয় হাঁকান। এর মধ্যে শুধু একটি চার ছিল রোহিতের। বাকি সবগুলিই ক্রুণালের।
ম্যাচের শেষ দিকে এই ঝড় তোলা নিয়ে ক্রুণাল বলেন, ‘‘আমরা এর আগে জেতার জায়গা থেকেও ফিরে গিয়েছি বারবার। আজ জিতলাম। আজ খুব উজ্জীবিত ছিলাম আজ। সেটা মাঠেই প্রতিফলিত হল।’’ দুই ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বলেন, ‘‘কোন প্রতিযোগিতাই নেই। হার্দিক খেললে আমি চাপে পড়ি। আমি খেললে ও চাপে পড়ে।’’