Kamran Akmal

দলে জায়গা পেতে কি আমায় ভারতে গিয়ে পারফর্ম করতে হবে, নির্বাচকদের তোপ পাক ক্রিকেটারের

২০১৯-২০ মরসুমের কয়েদ-ই-আজম ট্রফিতে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানসংগ্রহকারী ছিলেন কামরান আকমল। ১১ ম্যাচে ৬০.৪০ গড়ে তিনি করেন ৯০৬ রান। গত বছরের পাকিস্তান সুপার লিগেও তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বাধিক রানসংগ্রহকারী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২০ ১০:১৩
Share:

পারফরম্যান্সে কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেছেন কামরান আকমল। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুক্রবার থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবে পাকিস্তান। সেই সিরিজের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে শোয়েব মালিক ও মহম্মদ হাফিজের মতো অভিজ্ঞরা থাকলেও জায়গা হয়নি বর্ষীয়ান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কামরান আকমলের। যা তিনি একেবারেই মানতে পারছেন না।

Advertisement

২০১৯-২০ মরসুমের কয়েদ-ই-আজম ট্রফিতে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানসংগ্রহকারী ছিলেন কামরান আকমল। ১১ ম্যাচে ৬০.৪০ গড়ে তিনি করেন ৯০৬ রান। গত বছরের পাকিস্তান সুপার লিগেও তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বাধিক রানসংগ্রহকারী। ১৩ ম্যাচে করেছিলেন ৩৫৭ রান। এর পরও দলে না থাকায় নির্বাচকদের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন কামরান।

পাকিস্তানের এক নিউজ চ্যানেলে তিনি বলেছেন, “আমি এখনও হাল ছেড়ে দিচ্ছি না। তবে সব কিছুরই তো একটা সীমা রয়েছে। পাঁচ বছর হয়ে গেল নতুন সিস্টেম আনার। যাতে সেরা মানের ক্রিকেটার, সেরা প্রতিভা ও যাঁরা পারফরম্যান্স করবে, তাঁদের এমনিতেই বিবেচিত হওয়ার কথা জাতীয় দলের জন্য। আমাকে কি দলে আসার জন্য ভারতে বা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পারফর্ম করে আসতে হবে? আমি পাকিস্তানের ক্রিকেটার। গত পাঁচ বছর ধরে পারফর্ম করে চলেছি। আর কত সহ্য করব? আমার কি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়া উচিত? বলা উচিত যে গত পাঁচ বছর ধরে এটা আমার পারফরম্যান্স?”

Advertisement

আরও পড়ুন: ছিটকেই গেলেন ধওয়ন, দলে পৃথ্বী​

আরও পড়ুন: হাওয়া থেকে সাবধান, বলছেন সচিন

২০১৭ সালের এপ্রিলে শেষ বার পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন কামরান। তিনি আরও বলেছেন, “কেউ যদি আমার চেয়ে পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকে, তবে কিছু বলার নেই। আমাকে না হয় দরকার পড়লে শুধু উইকেটকিপার হিসেবেই খেলানো হোক। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু জায়গা রয়েছে। তবু ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্য কাউকে খেলানো হচ্ছে। এটা পাকিস্তানের দল। পাকিস্তানের স্বার্থকে সবার আগে রাখা উচিত। যে পারফরম্যান্স করবে, তাঁরই দলে আসা উচিত। আমার মতো আরও কয়েক জন ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা দলে আসতেই পারেন। যেমন ফওয়াদ আলম। ওঁর পারফরম্যান্সটা দেখা হোক। ওঁর ক্ষেত্রেও সীমা পেরিয়ে গিয়েছে ব্যাপারটা। আর আমি কি পারফরম্যান্স ছাড়া কথা বলছি?”

এই বছরেই অস্ট্রেলিয়ায় বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। কামরান বলেছেন, “আমি পিএসএলে পারফর্ম করেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ফরম্যাটেই রান করেছি। আর আমি একজন টপ পারফরমার। সামনেই বিশ্বকাপ। মিসবার এগুলো দেখা উচিত।” প্রাক্তন অধিনায়ক মিসবা উল হক এখন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ও কোচ।

জাতীয় দলে ফিটনেস টেস্টের প্রতি বাড়তি গুরুত্ব পছন্দ করছেন না কামরান। তাঁর যুক্তি, “আমাদের সবার সামনেই উদাহরণগুলো রয়েছে। শোয়েব আখতার, ইনজামাম ভাই, ইউসুফ ভাই। এঁদের ফিল্ডিংয়ে লুকিয়ে রাখতে হত। শোয়েব ভাই শুধু বল করতে পারত। আর তাতেই ম্যাচ জেতাত। ইনজি ভাই স্লিপে দারুণ ক্যাচ নিত। ইউনিস ভাই, মিসবা ভাইরা কত ফিটনেস টেস্ট দিয়েছে? কোচ হিসেবে মিকি আর্থার এসে ফিটনেস টেস্ট নিয়ে এই সমস্যা শুরু করেছে। এই কারণেই আমাদের ক্রিকেট ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। ফিটনেস টেস্ট নয়, ক্রিকেটারদের স্কিলের দিকেই নজর দেওয়া উচিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement