ব্যাটিং প্রশিক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন ইউনিস খান। —ফাইল চিত্র
সামনেই ইংল্যান্ড সফর। তার আগে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটিং প্রশিক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন ইউনিস খান। পাকিস্তান বোর্ডের এক কর্তার সঙ্গে গণ্ডগোলের কারণেই এমন পদক্ষেপ নিলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ড সফরের আগে পাকিস্তান দলের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে দেরিতে ঢোকার অনুমতি চেয়েছিলেন ইউনিস। সেই আলোচনা এমন পর্যায় পৌঁছে যায় যে প্রশিক্ষকের দায়িত্বই ছেড়ে দেন ইউনিস। সেই সূত্র পিটিআই-কে বলেছে, “করাচিতে দাঁতের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন ইউনিস। পাকিস্তান দলের কন্ডিনশনিং ক্যাম্পে যোগ দিতে তিন দিনের জন্য লাহোরে আসেন। কিন্তু হঠাৎই ঘোষণা করা হয়, সমস্ত ক্রিকেটার এবং দলের সঙ্গে যুক্ত সকলকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়তে হবে। চিকিৎসা তখনও বাকি থাকায় কিছু দিন পরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢোকার অনুমতি চেয়েছিলেন ইউনিস।”
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮ জুলাই থেকে শুরু হবে একদিনের সিরিজ। সেই সফর চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। তার আগে নিয়ম অনুযায়ী নিভৃতবাসে থাকতে হবে সকলকে। তবেই ইংল্যান্ড যাওয়ার বিমান ধরতে পারবেন তাঁরা। সেই নিভৃতবাস পর্ব শুরুর আগে লাহোর থেকে করাচি গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ইউনিস। সেই নিয়েই গণ্ডগোল এবং প্রশিক্ষকের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।
জানা গিয়েছে বোর্ডের যে কর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন ইউনিস। তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন যে দেরি করে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকলে ইংল্যান্ড যাওয়া সম্ভব নয়। শেষ মুহূর্তে ইউনিসের এই অনুরোধ রাখা সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দেন সেই কর্তা। এমনকি তিনি নাকি ইউনিসকে বলেন ইংল্যান্ড না গিয়ে সোজা ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে যেতে। সেখানেই পাকিস্তানের পরের সিরিজ। ইংল্যান্ড সফরে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন ইউনিস। পরে বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি এবং সিইও ওয়াসিম খান তাঁকে বোঝাতে এলে ইউনিস জানিয়ে দেন ব্যাটিং প্রশিক্ষকের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ইউনিসের মতানৈক্য হয় বলে জানা গিয়েছিল। তবে ব্যাটিং প্রশিক্ষকের দায়িত্ব ছাড়ার পিছনে সেই কারণ নেই বলেই জানিয়েছে পিটিআই-এর সেই সূত্র।