শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জ়ার বিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনা চলছেই। —ফাইল চিত্র
সানিয়া মির্জ়া এবং শোয়েব মালিকের ১২ বছরের সম্পর্কে বিচ্ছেদ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অনেকে। অভিযোগ, শোয়েবের নাকি অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। নাম শোনা যাচ্ছিল পাকিস্তানের অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের। সেই অভিনেত্রী মুখ খুললেন শোয়েব এবং তাঁর সম্পর্ক নিয়ে।
২০২১ সালে শোয়েব এবং আয়েশার একটি ফটোশুট হয়। সেখানে সুইমিং পুলে একসঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে ছবি তোলেন তাঁরা। সেই ছবি সামনে আনা হয় সানিয়া এবং শোয়েবের বিচ্ছেদের খবরের মাঝে। আয়েশা যদিও শোয়েবের সঙ্গে তাঁর কোনও রকম প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এমন কোনও ব্যাপার নেই। শোয়েব বিবাহিত এবং স্ত্রী-কে নিয়ে খুশি আছে। ওদের দু’জনকে আমি সম্মান করি। শোয়েব আমার ভাল বন্ধু। আমি চাই ওরা খুশি থাকুক। এমন সম্পর্কও পৃথিবীতে হয়।”
২০২১ সালে একটি ম্যাগাজ়িনের জন্য ফটোশুটে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল শোয়েব এবং আয়েশাকে। তার পর থেকেই অভিনেত্রীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে পাক ক্রিকেটারের নাম। ফটোশুটের ছবিগুলিতে শোয়েব এবং আয়েশাকে বেশ ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। পুলের জলে নেমে দু’জনের সিক্ত শরীরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। পুলের জলে শোয়েবের সঙ্গে রীতিমতো রোম্যান্সে মজেছিলেন অভিনেত্রী আয়েশা। গাঢ় কমলা রঙের পোশাকে উষ্ণতা ছড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছিলেন শোয়েব। তাঁর পরনে ছিল হালকা বেগুনি রঙের শার্ট। শুধু পুলের জলে দাঁড়িয়ে নয়, সংশ্লিষ্ট ম্যাগাজ়িনের জন্য আরও একাধিক ছবি তুলেছিলেন দুই পাক তারকা। কখনও তাঁদের দেখা গিয়েছিল শোয়ার ঘরে রোম্যান্টিক ভঙ্গিতে দাঁড়াতে, কখনও আবার খাবার টেবিলে দু’জনের খুনসুটি ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়।
২০২১ সালে শোয়েব এবং আয়েশার একটি ফটোশুট হয়। ছবি: টুইটার
গত মাসে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, দুবাইতে আলাদা বাড়িতে থাকছেন সানিয়া। আগে সেই শহরেই শোয়েবের সঙ্গে থাকতেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে ভারতের টেনিস তারকা লিখেছিলেন, ‘‘ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।’’ আবার ছেলে ইজ়হানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সানিয়া লিখেছিলেন, ‘‘মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।” বিচ্ছেদের খবরের মাঝে যা অন্য মাত্রা যোগ করেছে। এর মধ্যেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে একটি শো আসছে সানিয়া ও শোয়েবের। যার নাম ‘দ্য মির্জ়া মালিক শো’। ওই শোয়ের প্রচারমূলক একটি ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে বেশ খুনসুটি করতে দেখা গিয়েছে দু’জনকে।