কাতারে চলছে ফুটবল বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ। কোন দল এগিয়ে থাকবে, কোন দল পিছিয়ে— তা দেখার জন্য জড়ো হয়েছেন বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। সোমবার ব্রাজিলের সঙ্গে সুইৎজ়ারল্যান্ডের খেলা চলাকালীন ক্যামেরার লেন্স ধরেছিল ব্রাজিলের প্রাক্তন খেলোয়াড় রোনাল্ডো, কাকা, কাফু, রবার্তো কার্লোসদের। ব্রাজিলের গোলে উচ্ছ্বাস করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। গ্যালারিতে তাঁদের দেখে অতীতচারী হয়ে পড়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। ফের নতুন করে চর্চাও শুরু হয়েছে এই খেলোয়াড়দের নিয়ে।
চর্চা থেকে বাদ পড়লেন না ব্রাজিলের প্রাক্তন ফুটবলার রোনাল্ডো। এক সময় ফুটবল বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন রোনাল্ডো লুই নাজ়ারিও দে লিমা।
সম্প্রতি ব্রাজিলের এক টেলিভিশন চ্যানেলে রোনাল্ডো একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্যের নেপথ্যের কারণ।
সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো জানিয়েছেন, মাঠে নামার আগে সঙ্গমে না মজলে নাকি ভাল খেলতে পারতেন না তিনি।
রোনাল্ডোর পারফর্ম্যান্সের আসল রহস্য নাকি বিছানাতেই লুকিয়ে রয়েছে। এক বার নয়, খেলতে নামার আগে বহু বার যৌনতার খেলায় মেতেছেন তিনি।
যৌনতা নিয়ে বরাবরই খোলামেলা আলোচনা করেন রোনাল্ডো। তাঁর জীবনে যৌনতা কী রকম প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়েও কিছু রাখঢাক নেই রোনাল্ডোর।
বরং ফুটবল মাঠের বাইরেও রোনাল্ডোর কীর্তি নিয়ে অবগত অনেকেই। ২০০৮ সালে তিন দেহ ব্যবসায়ীর সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়ে তাঁর।
নিজের প্রেমিকাকে বাড়িতে ছেড়ে আসার সময় রাস্তায় তিন জন দেহ ব্যবসায়ীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন রোনাল্ডো। টাকার বিনিময়ে তাঁদের সঙ্গে কাছের একটি মটেলে রাত কাটাতেও রাজি হন তিনি। কিন্তু পরে জানতে পারেন, দেহ ব্যবসায়ীরা মহিলা নন। বরং মহিলাদের বেশে ছিলেন তিন পুরুষ।
বুঝতে পেরে রোনাল্ডো পিছিয়ে আসেন। তখনই শুরু হয় গন্ডগোল। দেহ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে থাকা তিন জন রোনাল্ডোকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন। গাড়ির সমস্ত নথিপত্রও নিয়ে নেন তাঁরা।
দাবি করেন, ৩০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি) না দিলে রোনাল্ডোর কুকীর্তির কথা ফাঁস করে দেবেন ছদ্মবেশীরা। এই ঘটনা নিয়ে প্রচুর জলঘোলাও হয়।
রোনাল্ডো বলেছিলেন, ‘‘তিনি সামান্য সুখের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন। এতে কোনও দোষ নেই।’’
তার আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন রোনাল্ডো। নব্বইয়ের দশকে দুই মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল রোনাল্ডোকে।
বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পের প্রেসি়ডেন্সিয়াল বক্সে দুই মহিলার সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত ছিলেন রোনাল্ডো। সেই সময় এক নিরাপত্তারক্ষী হঠাৎ সামনে চলে আসেন।
জানাজানি হতে হইচই শুরু হয়ে যায়। বার্সেলোনার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোসেফ লুই নুনেজ় বলেন, ‘‘রোনাল্ডোর বয়স ২০। এই বয়সেই তো ওর মজা করার কথা।’’
এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডোকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যৌনতা এবং বিশ্বকাপের মধ্যে যদি তাঁকে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়, তবে তিনি কী বাছবেন?
উত্তরে রোনাল্ডো বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপ তো চার বছর পর হয়। কিন্তু সঙ্গমে তো যখন তখন লিপ্ত হওয়া যায়। যৌনতায় মজে যাওয়া যে খারাপ, তা একদম নয়।’’
রোনাল্ডো নিজের মুখে স্বীকার করেন, বেশির ভাগ সময় খেলতে নামার আগে তিনি যৌন মিলনে লিপ্ত হতেন। তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে ভাল করে খেলায় মন দিতে পারতাম।’’
রোনাল্ডো আরও বলেন, ‘‘কোচদের মধ্যে সবাই অবশ্য খেলার আগে এসব করতে দিতেন না। কিন্তু আমি খেয়াল করেছি, যে ম্যাচ খেলার আগে আমি যৌন সম্পর্কে মিলিত হয়েছি, সেই ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছি।’’
কিন্তু রোনাল্ডো জানিয়েছেন, সব সময় শরীরের খেলায় মজেই তিনি সর্বসুখ পেয়েছেন, তা নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জয়ের যে আনন্দ, তা যৌন মিলনের আনন্দকেও ছাপিয়ে যায়।’’