উৎসর্গ: মায়ের জন্মদিনে সেরা উপহার দিলেন সিন্ধু। ফাইল চিত্র
দু’বছর আগে যাঁর কাছে হার মেনে শেষ হয়ে গিয়েছিল সোনার স্বপ্ন, রবিবার সেই নজ়োমি ওকুহারাকে ৩৭ মিনিটের মহাকাব্যিক ফাইনালে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু।
ভারতের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে সোনা জয়ের পরে সিন্ধুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘দারুণ আনন্দ হচ্ছে। এই জয়ের জন্যই তো এত দিন ধরে অপেক্ষা করেছিলাম। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল।’’
২১-৭, ২১-৭। ‘উদিত সূর্যের দেশের’ প্রতিনিধি ওকুহারার সোনার স্বপ্ন দ্রুত অস্তমিত হয়ে গেল সিন্ধুর আস্ফালনে। সোনা জিতে পুল্লেলা গোপীচন্দের ছাত্রী বলেছেন, ‘‘কী ভাবে যে এই আনন্দকে প্রকাশ করব, সেই ভাষাটাই খুঁজে পাচ্ছি না। এত দীর্ঘ সময় ধরে এই সোনার জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে, তা বলে বোঝাতে পারব না।’’ আরও যোগ করেছেন, ‘‘গত দু’ বছরে জিতেছিলাম রুপো। আজ সেই পর্বের সমাপ্তি ঘটল। আমি বিশ্ব সেরা। এই জয়কে উপভোগ করতে চাই।’’’
সিন্ধু সোনা উৎসর্গ করেছেন মা-কে। বলেছেন, ‘‘আজ আমার মা-র জন্মদিন। ভাবছিলাম মাকে কী উপহার দেব। অবশেষে এই সোনাই তাঁকে উপহার দিলাম।’’ তাঁর কথা শুনে সঞ্চালকও ‘হ্যাপি বার্থডে’ গেয়ে ওঠেন। সিন্ধু আরও বলেছেন, ‘‘জাতীয় সঙ্গীতের সুরে তোলা হচ্ছে তেরঙ্গা। একটা অপূর্ব অনূভূতি হচ্ছিল। যে কোনও খেলোয়াড়ের কাছে এর চেয়ে গর্বের মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না।’’ বলেছেন, ‘‘ফাইনাল খেলছি, সেটা একবারও ভাবিনি। আরও পাঁচটা ম্যাচের মতো দেখেছি।’’ টুইটারে সচিন তেন্ডুলকর থেকে সানিয়া মির্জ়া, সকলেই সিন্ধুর এই ঐতিহাসিক সাফল্যে হয়ে
পড়েন আবেগপ্রবণ।