শপথ নিচ্ছেন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। ছবি - টুইটার
ইদানীং ওঁর সকাল একটু অন্য ভাবে শুরু হয়। সূর্যের আলো ফুটলেই চলে যান নিজের বিধানসভা হাওড়ার শিবপুরে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ছেলেদের নিয়ে মুখে মাস্ক চাপিয়ে চলে প্রতিদিন বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ। কারণ মনোজ তিওয়ারি বিজেপি-কে হারিয়ে দিলেও কোভিড নামক অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনও জিততে পারেননি। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলার প্রাক্তন অধিনায়কের এখন একটাই লক্ষ্য। সোমবার শপথ গ্রহণের পর সেটা অকপটে জানিয়েও দিলেন মন্ত্রীমশাই।
দ্বিতীয় পর্বেই শিবপুরের ভোট পর্ব মিটে গিয়েছিল। তারপর থেকেই নিজের বিধানসভা এলাকায় মাস্ক বিতরণ থেকে জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলেন। সামান্য জ্বর থাকায় সেই সময় নিজে উপস্থতি না থাকতে পারলেও এখন কিন্তু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব কাজ দেখছেন। মনোজের সাফ কথা, “বিজেপি-র বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিতলেও করোনা এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অদৃশ্য ভাইরাসকেও হারাতে হবে। তাই সবাই একজোট হয়ে কাজ করছি।”
অনেকেই আশা করেছিলেন তাঁকে পূর্ণমন্ত্রী করা হবে। কিন্তু সেটা হল না। প্রতিমন্ত্রী হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। বিগত মন্ত্রীসভার সদস্য লক্ষ্মীরতন শুক্লর মতো ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন মনোজ। যদিও এতে তাঁর আক্ষেপ নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪৩ জনের মন্ত্রী সভায় থাকতে পেরেই খুশি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাই বলেন, “দিদির ক্যাবিনেটে স্থান পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। এটাও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। সততার দঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে চাই।”
একদিকে শিবপুরের মতো এলাকার বিধায়ক। অন্য দিকে আবার রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া দলীয় কর্মসূচী তো আছেই। অর্থাৎ ব্যস্ততা আরও বেড়ে গেল। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন আসছে তিনি কীভাবে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন? কারণ এখনও যে অবসরের কথা ঘোষণা করেননি। যদিও মনোজের সাফ জবাব, “সব কিছু জেনেই এই পিচে ব্যাট করতে নেমেছি। এলাকার সাধারণ মানুষের সেবা করার পাশাপাশি কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই ভাইরাসকে হারানো প্রাথমিক লক্ষ্য। তাছাড়া এই মুহূর্তে বাংলার কোনও খেলা নেই। তাই এখনও অবসরের কথা ভাবনা চিন্তা করিনি।”