আকর্ষণ: প্রতিযোগীদের সঙ্গে নিজস্বী সচিনের। রবিবার। পিটিআই
ম্যারাথনে তিনি অংশ নেননি কখনও। খেলোয়াড় জীবনে দাপট দেখিয়েছেন ক্রিকেট মাঠেই। কিন্তু শীতের সকালে কলকাতা ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ দিতে কাকভোরেই রেড রোডে হাজির সেই মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর।
দৌড় শুরু করার পাশাপাশি খুদে অংশগ্রহণকারীদের দিলেন পরামর্শ। আর সচিনকে মঞ্চে দেখেই পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে দৌড় ভুলে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। যা দেখে সচিনও প্রতিযোগীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ভুললেন না। পরে অবশ্য তাড়া দিয়ে বললেন, ‘‘এ বার ছবি তোলা বন্ধ করে এগিয়ে যান।’’
ম্যারাথন ও অন্য স্বল্প দূরত্বের দৌড় মিলিয়ে মোট ১২ হাজার প্রতিযোগী এ দিন অংশ নিয়েছিলেন কলকাতা ম্যারাথনে। যার মধ্যে সাত বছরের বালিকা থেকে ৮৬ বছরের প্রবীণ কেউ বাদ যাননি। এমনকি স্যুট পরেও কর্পোরেট জগতের দু’-তিনজনকে দৌড়তে দেখা গিয়েছে রবিবার সকালে। যাঁদের উৎসাহ দিয়ে সচিন বলেন, ‘‘এ বার কলকাতা ম্যারাথনে ২৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারীই মহিলা। এটা দারুণ ব্যাপার। সুস্থ ও তরতাজা থাকতে গেলে পুরুষ-মহিলা সকলকেই শারীরচর্চা করতে হবে। যার অন্যতম অঙ্গ দৌড়। পরিবারের মহিলারা ফিট ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে, বাকিরাও তার সুফল ভোগ করে।’’ যোগ করেন, ‘‘একদিন দৌড়ে বাকি দিনগুলোতে বিশ্রাম নিতে চলবে না। জীবনযাত্রা পরিবর্তন করে সুস্থ থাকতে রোজ দৌড়-শারীরচর্চার মধ্যে থাকুন।’’
কলকাতা ম্যারাথনে এ বার পুরুষদের বিভাগে জয়ী হলেন লখনউ-এর অবোধ নারায়ণ যাদব (২ ঘণ্টা ৩০.৩০ মিনিট)। মহিলাদের বিভাগে জয়ী কলকাতার অঞ্জলি সারোগি (৩ ঘণ্টা ২৪.০২ মিনিট)।