পৃথ্বীর সফল প্রত্যাবর্তন। ছবি - বিসিসিআই
খারাপ সময় কাটিয়ে সচিন তেন্ডুলকরের পরামর্শে ফিরে এলেন পৃথ্বী শ। চলতি বিজয় হজারে ট্রফিতে ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন পৃথ্বী। ১৮৮.৫ গড় নিয়ে ৭৫৪ রান। সঙ্গে রয়েছে ৩টি শতরান ও ১টি দ্বিশতরান। কিন্তু কয়েক মাস আগে পরিস্থিতি কিন্তু এমন ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্টে ০ ও ৪ রানে ফিরে যান এই তরুণ। ভেতরে আসা বলের মোকাবিলা করতে না পেরে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। সুনীল গাওস্কর থেকে রিকি পন্টিং সবাই পৃথ্বীর ব্যাটিং নিয়ে নিন্দা করেছেন। সেই টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল।
যদিও অস্ট্রেলিয়া সফরের খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে পৃথ্বী বলছিলেন, “মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের ভেতরে আসা বলে আউট হয়েছিলাম এটা সবাই দেখেছে। তবে আমি কিন্তু এত খারাপ ব্যাটসম্যান নই। আসলে আমার ‘ব্যাক লিফ্ট’ ঠিক থাকলেও শরীরের অনেক দূর থেকে খেলছিলাম। তাই সমস্যা হয়েছিল। নেটে গিয়ে ভুলগুলো শুধরেও নিয়েছি। সেই সময় রবি (শাস্ত্রী) স্যার আমার সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু নিজেকে আটকাতে পারছিলাম না। সাজঘর এক কোণায় গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করতাম।”
প্রত্যেক খারাপ সময়ের পরেই আসে ভাল দিক। পৃথ্বীর ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। দেশে ফিরেই সোজা সচিন তেন্ডুলকরের বাড়ি চলে যান। কী কথা হয়েছিল সচিনের সঙ্গে? তরুণ মুম্বইকর বলছেন, “সচিন স্যার দুটো পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথম: শরীর ও বলের মধ্যে বেশি দুরত্ব রাখা যাবে না। দুই: নেট মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রাক্তনদের টিকা টিপন্নিতে কান না দেওয়া। এখন সেগুলো পালন করছি বলেই ফল পাচ্ছি।”
কিন্তু ঘরোয়া একদিনের ম্যাচে এমন সাফল্যের পরেও কি তিনি আবার সুযোগ পাবেন? কারণ শুধু ব্যাটিং নয়, পৃথ্বীর ফিটনেস নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। যদিও তাঁর দাবি, “আমি ভারতীয় দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার, সেই দাবি কোনওদিন করিনি। তবে আমার মধ্যে চেষ্টার খামতি থাকে না। আমি কিন্তু মুম্বইয়ের বিরারের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। লড়াই আমার রক্তে। তাই এত সহজে হাল ছাড়ব না। জাতীয় দলে ফিরবই।”