Paris Olympics 2024

সেমিফাইনালে হারলেও আত্মবিশ্বাসী লক্ষ্য, ভুল শুধরে পদক জিততে চান

দু’টি গেমেই এগিয়ে থেকেও অ্যাক্সেলসেনের কাছে হেরে গিয়েছেন লক্ষ্য। রবিবার নিশ্চিত করতে পারেননি অলিম্পিক্স পদক। ভুল শুধরে সোমবার ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামতে চান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৩০
Share:

লক্ষ্য সেন। ছবি: এক্স (টুইটার)।

অলিম্পিক্সে পুরুষদের সিঙ্গলস ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে হেরে গেলেন লক্ষ্য সেন। রবিবার নিশ্চিত করতে পারলেন না পদক। তবে সুযোগ এখনও আছে। সোমবার ব্রোঞ্জ পদক জেতার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে। সেমিফাইনালে ভাল লড়াই করেও হেরে গিয়েছেন ডেনমার্কের ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে। দু’টি গেমেই কাজে লাগাতে পারেননি এগিয়ে থাকার সুযোগ।

Advertisement

লক্ষ্য হতাশ হলেও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না। ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচের দিকে তাকিয়ে তিনি। রবিবার ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, ‘‘এই সেমিফাইনাল ম্যাচ মনে রাখতে চাই না। প্রতিযোগিতায় আগের ম্যাচগুলিও মনে রাখতে চাই না। আমার সামনে এখন একটাই ম্যাচ। সোমবারের ম্যাচটা জিততে চাই। এখন এটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সোমবারের ম্যাচের জন্য আমি প্রস্তুত। কালকের ম্যাচেও নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করব। সেমিফাইনাল থেকে অনেক কিছু শিখেছি। পরের ম্যাচে সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’’

লক্ষ্য মেনে নিয়েছেন অ্যাক্সেলসেনের মতো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে তাঁর আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তিনি বলেছেন, ‘‘সেমিফাইনালটা খুব কঠিন ছিল। আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল আমার। প্রথম গেম হেরে যাওয়া ঠিক হয়নি। তা হলে ম্যাচটা তৃতীয় গেমে নিয়ে যাওয়া যেত। হয়তো জেতার সুযোগ পেতে পারতাম। দ্বিতীয় গেমটাও ভাল শুরু করেছিলাম। কিন্তু এগিয়ে থাকার সুবিধা ধরে রাখতে পারিনি। অ্যাক্সেলসেন সত্যিই খুব ভাল খেলেছে। পয়েন্ট পাওয়া খুব কঠিন হচ্ছিল।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘খেলা যত এগিয়েছে, অ্যাক্সেলসেন আক্রমণের ঝাঁঝ তত বৃদ্ধি করেছে। আমি রক্ষণাত্মক হলেও আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে গিয়েছে। মনে হয়, সেই সময় আমারও পাল্টা আগ্রাসী হওয়া উচিত ছিল। তা হলে হয়তো অন্য রকম হতে পারত।’’

Advertisement

প্যারিসে রয়েছেন লক্ষ্যর বাবা-মাও। খেলা এবং অনুশীলনের ফাঁকে সময়, সুযোগ পেলে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করছেন। মায়ের রান্না করা খাবারও খাচ্ছেন দুপুরে এবং রাতে। শনিবার তাঁর বাবা-মা এসেছিলেন সেমিফাইনালের লড়াই দেখতে। তা নিয়ে লক্ষ্য বলেছেন, ‘‘বাবা-মা দর্শকাসনে ছিলেন। প্রায় প্রতি দিন আমাকে দুপুর এবং রাতের খাবার পাঠাচ্ছেন বাবা-মা। যে দিন যেমন পারছেন, তেমন করে দিচ্ছেন। সব সময় ওদের পাশে পাই। বাবা, মায়ের সঙ্গে আমার ভাইও এখানে এসেছে। সবাই পাশে থাকলে সাহস পাওয়া যায়। দর্শকেরাও আমাকে সমর্থন করেছেন। আশা করব সোমবারও এমন সমর্থন পাব।’’

ভারতের প্রথম পুরুষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসাবে অলিম্পিক্সে সিঙ্গলস সেমিফাইনালে উঠেছিলেন লক্ষ্য। সোমবার পদক জিতলে নতুন ইতিহাস তৈরি করবেন ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। সোমবার তাঁর প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়ার লি জ়ি জিয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement