Vinesh Phogat

‘সোনা জিতে দেশে ফিরব’, ফাইনালে উঠে কাঁদতে কাঁদতে মাকে বললেন বিনেশ, নিলেন আশীর্বাদ

কুস্তির ফাইনালে উঠেছেন বিনেশ ফোগট। ভারতের প্রথম কুস্তিগির হিসাবে অলিম্পিক্সে সোনা জেতার সুযোগ রয়েছে তাঁর। বিনেশ মাকে জানিয়েছেন, সোনা জিতেই ফিরবেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ০১:১২
Share:

ফাইনালে উঠে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বিনেশ ফোগট। ছবি: পিটিআই।

ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগির হিসাবে অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠেছেন বিনেশ ফোগট। ভারতের প্রথম কুস্তিগির হিসাবে প্যারিসে সোনা জেতার সুযোগ রয়েছে তাঁর। সোনা ছাড়া কিছু ভাবছেন না বিনেশ। ফাইনালে ওঠার পরেই কাঁদতে কাঁদতে মাকে জানিয়েছেন যে, সোনা জিতেই দেশে ফিরবেন তিনি।

Advertisement

সেমিফাইনালে কিউবার গুজ়মান লোপেজ়কে হারানোর পরে মিক্সড জ়োনে দাঁড়িয়ে ভিডিয়ো কলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বিনেশ। অপর প্রান্তে তাঁর মা ও পরিবারের অন্য সদস্যেরা ছিলেন। বিনেশ তাঁদের দেখে আবেগ সামলাতে পারেননি। কেঁদে ফেলেন। পরে তাঁদের কাছে হাতের ইঙ্গিতে আশীর্বাদও চান। বিনেশের মা তাঁকে কী বলছিলেন তা শোনা না গেলেও বিনেশকে শেষে বলতে শোনা যায়, “সোনা জিততে হবে। সোনা জিতে দেশে ফিরব।”

এ বারের অলিম্পিক্সে মহিলাদের ৫০ কেজি বিভাগে নেমেছেন বিনেশ। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তথা গত অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী জাপানের উই সুসাকিকে হারিয়েছেন বিনেশ। গত অলিম্পিক্সে সুসাকি প্রতিপক্ষকে একটিও পয়েন্ট পেতে দেননি। তাঁকেই ৩-২ পয়েন্টে হারান বিনেশ। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি হারান ইউক্রেনের লিভাচ ওকসানাকে। ৭-৫ পয়েন্টে জেতেন বিনেশ।

Advertisement

সেমিফাইনালের লড়াই সহজ ছিল না। কিউবার লোপেজ় আগের ম্যাচে ১০-০ ব্যবধানে জিতেছিলেন। যথেষ্ট আক্রমণাত্মক খেলেছিলেন তিনি। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক শুরু করেন বিনেশ। নিজের ডিফেন্সে জোর দিচ্ছিলেন তিনি। ফলে পয়েন্ট পাচ্ছিলেন না লোপেজ়। মাঝেমধ্যেই বিনেশ তাঁকে বুকের ভরে ফেলে দিলেও পয়েন্ট তুলতে পারেননি। কারণ, লোপেজ়ও ভাল ডিফেন্স করছিলেন। বিনেশের একটি পা ধরে রাখছিলেন তিনি। ফলে পয়েন্ট পাচ্ছিলেন না বিনেশ।

প্রথম তিন মিনিট শেষ হওয়ার আগে পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ পান বিনেশ। দু’বার ওয়ার্নিং পান লোপেজ়। ফলে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পয়েন্ট তুলতে হত তাঁকে। তিনি পারেননি। সেই কারণে পেনাল্টি হিসাবে ১ পয়েন্ট পান বিনেশ। পরের তিন মিনিট শুরু হওয়ার পরেই বিনেশকেও দু’বার ওয়ার্নিং দেওয়া হয়। ফলে তাঁকেও লোপেজ়ের মতো ৩০ সেকেন্ডে পয়েন্ট তুলতে হত। নইলে প্রতিপক্ষ ১ পয়েন্ট পেয়ে যেতেন। সেই শাস্তিই শাপে বর হল বিনেশের। তার আগে পর্যন্ত রক্ষণাত্মক খেলছিলেন তিনি। কিন্তু রেফারির ওয়ার্নিংয়ের ফলে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পয়েন্ট তুলে নেন বিনেশ। ৩-০ এগিয়ে যান তিনি। ফলে পয়েন্ট পেতেই হত লোপেজ়কে। সেই চেষ্টায় আরও ২ পয়েন্ট হারান তিনি। ৫-০ এগিয়ে যান বিনেশ।

সময় কমে আসছিল। আর ফিরতে পারেননি লোপেজ়। ৫-০ পয়েন্টে জিতে ফাইনালে ওঠেন বিনেশ। তিনি জেতার পরে তাঁর কোচের চোখে জল বুঝিয়ে দিচ্ছিল, এই জয় তাঁর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার সোনার লড়াইয়ে নামবেন তিনি। প্রতিপক্ষ আমেরিকার সারা অ্যান হিল্ডেব্রান্ট। সারাকে হারিয়ে সোনা জিততে চান বিনেশ। সোনা ছাড়া আর কোনও দিকে তাকাচ্ছেন না তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement