অলিম্পিক্সের ফাইনালে ওঠার পরে বিনেশ ফোগট। ছবি: রয়টার্স।
পদকের আশা ছিল তাঁর কাছে। নিরাশ করলেন না বিনেশ ফোগট। অলিম্পিক্সে ভারতের চতুর্থ পদক নিশ্চিত করলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টা পরেই সোনা জেতার সুযোগ রয়েছে বিনেশের। কুস্তিতে ৫০ কেজি বিভাগের ফাইনালে উঠলেন মহিলা কুস্তিগির। সেমিফাইনালে কিউবার গুজ়মান লোপেজ়কে হারিয়েছেন তিনি। আর একটি ম্যাচ জিতলেই সোনা জিতবেন তিনি। হারলেও রুপো নিশ্চিত বিনেশের। ২৯ বছরের বিনেশই প্রথম মহিলা ভারতীয় কুস্তিগির যিনি অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠলেন।
কিউবার লোপেজ় আগের ম্যাচে ১০-০ ব্যবধানে জিতেছিলেন। যথেষ্ট আক্রমণাত্মক খেলেছিলেন তিনি। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক শুরু করেন বিনেশ। নিজের ডিফেন্সে জোর দিচ্ছিলেন তিনি। ফলে পয়েন্ট পাচ্ছিলেন না লোপেজ়। মাঝেমধ্যেই বিনেশ তাঁকে বুকের ভরে ফেলে দিলেও পয়েন্ট তুলতে পারেননি। কারণ, লোপেজ়ও ভাল ডিফেন্স করছিলেন। বিনেশের একটি পা ধরে রাখছিলেন তিনি। ফলে কুস্তির নিয়মে পয়েন্ট পাচ্ছিলেন না বিনেশ।
প্রথম তিন মিনিট শেষ হওয়ার আগে পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ পান বিনেশ। দু’বার ওয়ার্নিং পান লোপেজ়। ফলে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পয়েন্ট তুলতে হত তাঁকে। তিনি পারেননি। সেই কারণে পেনাল্টি হিসাবে ১ পয়েন্ট পান বিনেশ। পরের তিন মিনিট শুরু হওয়ার পরেই বিনেশকেও দু’বার ওয়ার্নিং দেওয়া হয়। ফলে তাঁকেও লোপেজ়ের মতো ৩০ সেকেন্ডে পয়েন্ট তুলতে হত। নইলে প্রতিপক্ষ ১ পয়েন্ট পেয়ে যেতেন।
সেই শাস্তিই শাপে বর হল বিনেশের। তার আগে পর্যন্ত রক্ষণাত্মক খেলছিলেন তিনি। কিন্তু রেফারির নির্দেশের পরে আক্রমণাত্মক খেলেন বিনেশ। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পয়েন্ট তুলে নেন তিনি। ৩-০ এগিয়ে যান। পিছিয়ে পড়ায় পয়েন্ট পেতেই হত লোপেজ়কে। সেই চেষ্টায় আরও ২ পয়েন্ট হারান তিনি। ৫-০ এগিয়ে যান বিনেশ।
সময় কমে আসছিল। আর ফিরতে পারেননি লোপেজ়। ৫-০ পয়েন্টে জিতে ফাইনালে ওঠেন বিনেশ। তিনি জেতার পরে তাঁর কোচের চোখে জল বুঝিয়ে দিচ্ছিল, এই জয় তাঁর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার সোনার লড়াইয়ে নামবেন তিনি। প্রতিপক্ষ আমেরিকার সারা অ্যান হিল্ডেব্রান্ট। এখন দেখার প্যারিসে ভারতের হয়ে প্রথম সোনা বিনেশ জিততে পারেন কি না।