নাদা হাফেজ। ছবি: এক্স (টুইটার)।
রিয়ো, টোকিয়োর পর প্যারিস। গত দু’বারের মতো এ বারের অলিম্পিক্সেও মহিলাদের ফেন্সিংয়ে মিশরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন নাদা হাফেজ। পেশায় তিনি প্যাথলজিস্ট। গত দু’বারের মতো তিনি একা লড়াই করেননি। প্যারিসে তাঁর সঙ্গী ছিল গর্ভে থাকা সাত মাসের সন্তান।
প্যারিসে প্রথম ম্যাচে নাদার প্রতিপক্ষ ছিলেন মহিলাদের ফেন্সিংয়ে বিশ্বক্রমতালিকায় ১০ নম্বরে থাকা আমেরিকার এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কি। তাঁকে হারিয়ে অলিম্পিক্স অভিযান শুরু করেন নাদা। ১৫-১৩ ব্যবধানে জিতে নজর কাড়েন তিনি। শেষ ১৬র লড়াইয়ে তিনি হেরে গিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার হা ইয়াং জিয়োনের কাছে। ৭-১৫ ব্যবধানে এই ম্যাচ হারার পর নাদা জানিয়েছেন, তিনি অলিম্পিক্স খেলতে এসেছেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। তাঁর কথা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলেই। গর্বিত নাদা বলেছেন, ‘‘আমি এবং আমার সন্তান প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পেরেছি। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আমরা লড়াই করতে পেরেছি। এটা গর্বের। এই লড়াই আমার সত্তাকে পূর্ণতা দিয়েছে।’’
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অলিম্পিক্স খেলতে পারার জন্য নাদা ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর স্বামী ইব্রাহিম ইবাব এবং পরিবারের অন্যদের। কায়রোর বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘গর্ভাবস্থার এই যাত্রা সহজ নয়। জীবন এবং খেলার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে এই লড়াই আমার কাছেও সহজ ছিল না। তাই এই লড়াই আমার কাছে খুব মূল্যবান। স্বামী এবং পরিবারের অন্যদের পাশে না পেলে এত দূর আসতে পারতাম না।’’
সাত মাসের গর্ভাবস্থায় অলিম্পিক্স খেলতে আসা নাদাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়েরা। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ক্রীড়াপ্রেমীরাও। দেশে ফিরে কিছু দিন খেলা থেকে দূরে থাকার কথা জানিয়েছেন ২৬ বছরের ফেন্সার। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর সুস্থ হয়ে আবার তরোয়াল হাতে লড়াই করতে নামবেন দেশের জন্য।